প্রথমে লন্ডনে হাঁটু দৈর্ঘ্যের বাদামি লিনেন স্কার্টসহকারে স্যামন-কমলা শার্ট আর বাইকার বুট পরে সবার চোখ কপালে তুলে দিয়েছিলেন ব্র্যাড সপ্তাহ দুই আগে। তারপর এই প্রচারণার প্যারিস পর্বে তাঁকে দেখা গেল লাউঞ্জওয়্যার আর ফরমালওয়্যারের মাঝামাঝি এক লুকে। আরামদায়ক মেলন–রঙা এই স্যুটের প্যান্টের কোমরে ড্র-স্ট্রিং অবধি দেখা যাচ্ছে৷ আবার ছবির প্রিমিয়ারের জন্য তিনি বেছে নিয়েছেন একই রকম ক্যাজুয়াল সিলোয়েটের স্লেট-ধূসর লিনেন স্যুট। পায়ে ছিল অ্যাডিডাস-গুচি কোলাবরেশনের স্নিকার্স। বার্লিনেও গোলাপি ফুরফুরে টু–পিসে তিনি সামনে এলেন সবার।
এরপর আমেরিকায় ‘বুলেট ট্রেন’ ছবির প্রচারণা চালাতে গিয়ে রেড কার্পেটে উড়ন্ত হাই কিক দিয়ে সুপারহিরোর মতো আবির্ভূত হলেন ব্র্যাড পিট। তবে আবারও সেই একই ধাঁচের চোখধাঁধানো টিয়ে-সবুজ রঙের কোমরে ড্র-স্ট্রিং দেওয়া ঢিলেঢালা নরমসরম লিনেন স্যুটে। রঙের বাহার এখানেই শেষ হয়নি। সঙ্গে ছিল টিলরঙা পোলো শার্ট আর ঝকঝকে হলুদ অ্যাডিডাস-গুচি সামবা স্নিকার্স।
এবার আর না থাকতে পেরে যখন সাংবাদিকেরা ব্র্যাডকে তাঁর এই ফ্যাশন–বিপ্লবের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলেন, তাঁর উত্তর ছিল রীতিমতো অবাক করা। ব্র্যাডের কথা হলো, ‘কী আছে জীবনে! একদিন তো মরেই যাব সবাই। তাই যা পরতে ভালো লাগে, তা–ই পরা উচিত।’ আসলে ফ্যাশন হচ্ছে মানুষ নিজেকে যেভাবে দেখতে চায়, সেই ভাবনারই আন্তরিক প্রকাশ। আর তা হয় সাজপোশাকের মাধ্যমে। তাই ব্র্যাড পিটের বর্তমান বদলে যাওয়া লুক তাঁকে আত্মবিশ্বাসী করে তুললে, আনন্দ দিলে, তাঁর নিজের ও তাঁর ভক্তদের জন্য তা ইতিবাচক ব্যাপারই বলতে হবে।
ছবি: ইন্সটাগ্রাম হ্যান্ডল