৪৮ বছর বয়সেও ওয়ার্ল্ড টাইটেইল জিতে নিজেকে চেনালেন এই হ্যান্ডসাম কুস্তিগির
শেয়ার করুন
ফলো করুন

১৭ বারের মতো ডব্লিউডব্লিউই রেসলম্যানিয়া চ্যাম্পিয়নশিপ বিজয়ী জনপ্রিয় রেসলার ও হলিউড অভিনেতা জন সিনার আজ ৪৮তম জন্মদিন। ইতিহাসের সর্বোচ্চ সংখ্যকবার ওয়ার্ল্ড টাইটেল জিতে রেকর্ড গড়েছেন এই রেসলার। এই বয়সে এসেও এমন ফিটনেস ও স্টাইল সত্যি ঈর্ষণীয়। জন সিনার আগে ১৬ বার ওয়ার্ল্ড টাইটেল জিতেছিলেন রিক ফ্লেয়ার। রেসলিং তারকা সিনা শুধু রিংয়ের সুপারস্টারই নন, হলিউডেও একজন প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা। তার অভিনীত জনপ্রিয় ছবির মধ্যে রয়েছে ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস, দা সুইসাইড স্কোয়াড ও পিসমেকার। এছাড়াও ৯০ দশকের প্রতিটি ছেলেমেয়ে স্টাইলিং-এর জন্য ভীষণ পছন্দ করে তাঁকে। ২০০২ সালে ডব্লিউডব্লিউইতে অভিষেকের পর জন সিনা দ্রুতই পরিচিতি পান তার হিপ-হপ লুক, র‍্যাপ স্টাইল ও সুগঠিত দৈহিক কাঠামোর জন্য।

ছবি: ডব্লিউডব্লিউই অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ও জন সিনার ইনস্টাগ্রাম

১/১২
কথায় আছে বেশভূষা দ্বারা মানুষ চেনা যায়। যে এই কথাটি প্রথম ভেবে ছিলেন তিনি নিশ্চয়ই টিশার্ট আর ডেনিম শর্টে কোনো সফল ব্যক্তিকে কল্পনা করেননি। কিন্তু জন সিনা নিজের রাজত্ব গড়েছেন এমন লুকেই
কথায় আছে বেশভূষা দ্বারা মানুষ চেনা যায়। যে এই কথাটি প্রথম ভেবে ছিলেন তিনি নিশ্চয়ই টিশার্ট আর ডেনিম শর্টে কোনো সফল ব্যক্তিকে কল্পনা করেননি। কিন্তু জন সিনা নিজের রাজত্ব গড়েছেন এমন লুকেই
বিজ্ঞাপন
২/১২
প্রথম দিকে থ্রোব্যাক জার্সি, থ্রি কোয়াটার ডেনিম প্যান্ট, রিস্টব্যান্ড, উল্টো করে পরা ক্যাপ, কেডস ও ভারী চেইন ছিল তাঁর সিগনেচার স্টাইল। এই পপ স্টাইলেই সকলের মনে বিশেষ করে ছোটদের কাছে জায়গা করে নেন এই রেসলার তারকা
প্রথম দিকে থ্রোব্যাক জার্সি, থ্রি কোয়াটার ডেনিম প্যান্ট, রিস্টব্যান্ড, উল্টো করে পরা ক্যাপ, কেডস ও ভারী চেইন ছিল তাঁর সিগনেচার স্টাইল। এই পপ স্টাইলেই সকলের মনে বিশেষ করে ছোটদের কাছে জায়গা করে নেন এই রেসলার তারকা
বিজ্ঞাপন
৩/১২
ক্যারিয়ারের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বার্তাসহ টি-শার্ট পরেছেন সিনা। ‘ইউ ক্যান নট সি মি’, ‘নেভার গিভ আপ’, ‘হাসল, লয়ালিটি, রেস্পেক্ট’, ‘রাইজ অ্যাবভ হেইট’ —এই কথাগুলো তাঁর টি-শার্টের মাধ্যমে কোটি ভক্তের হৃদয়ে গেঁথে দিয়েছেন
ক্যারিয়ারের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বার্তাসহ টি-শার্ট পরেছেন সিনা। ‘ইউ ক্যান নট সি মি’, ‘নেভার গিভ আপ’, ‘হাসল, লয়ালিটি, রেস্পেক্ট’, ‘রাইজ অ্যাবভ হেইট’ —এই কথাগুলো তাঁর টি-শার্টের মাধ্যমে কোটি ভক্তের হৃদয়ে গেঁথে দিয়েছেন
৪/১২
জন সিনা নামটি দেখলে প্রথমেই মাথায় আসে ‘ইউ ক্যান নট সি মি’ । এটি কেবল একটি ক্যাচফ্রেজ নয়। বরং তাঁর সাহসী অ্যাটিটিউডের প্রতীকী
জন সিনা নামটি দেখলে প্রথমেই মাথায় আসে ‘ইউ ক্যান নট সি মি’ । এটি কেবল একটি ক্যাচফ্রেজ নয়। বরং তাঁর সাহসী অ্যাটিটিউডের প্রতীকী
৫/১২
লেকারসের শহর লস অ্যাঞ্জেলেসে অনুষ্ঠিত সামারস্ল্যাম ২০১০-এর ‘ডু অর ডাই’ একটি ম্যাচে জন সিনা অংশ নেন পার্পল-হলুদ টিশার্ট পরে। অনেকেই বলেন, এটি বাস্কেটবলের কিংবদন্তি খেলোয়াড় ম্যাজিক জনসনের প্রতি শ্রদ্ধা। আবার দা রক বলেছিলেন সিনাকে এই রঙে ডাইনোসরের মতো সাহসী ও নির্ভীক লাগছিল । ব্যঙ্গ-রসিকতা যাই হোক, নিজের স্টাইল ও আত্মবিশ্বাসে কোনো ঘাটতি রাখেননি সিনা
লেকারসের শহর লস অ্যাঞ্জেলেসে অনুষ্ঠিত সামারস্ল্যাম ২০১০-এর ‘ডু অর ডাই’ একটি ম্যাচে জন সিনা অংশ নেন পার্পল-হলুদ টিশার্ট পরে। অনেকেই বলেন, এটি বাস্কেটবলের কিংবদন্তি খেলোয়াড় ম্যাজিক জনসনের প্রতি শ্রদ্ধা। আবার দা রক বলেছিলেন সিনাকে এই রঙে ডাইনোসরের মতো সাহসী ও নির্ভীক লাগছিল । ব্যঙ্গ-রসিকতা যাই হোক, নিজের স্টাইল ও আত্মবিশ্বাসে কোনো ঘাটতি রাখেননি সিনা
৬/১২
রেসলম্যানিয়া ২৭-এ এই লাল টি-শার্ট দেখে ‘দা রক’ জন সিনাকে ‘ফ্রুটি পেবলস’ (সিরিয়াল) বলে খোঁচা দিয়েছিলেন। কিন্তু সিনা এটিকে দুর্বলতা না বানিয়ে বাণিজ্যিক সাফল্যে পরিণত করেছিলেন। তাঁর ছবি দিয়ে পরবর্তীতে ডিজাইন করা হয়েছিল সেই সিরিয়ালের প্যাকেট
রেসলম্যানিয়া ২৭-এ এই লাল টি-শার্ট দেখে ‘দা রক’ জন সিনাকে ‘ফ্রুটি পেবলস’ (সিরিয়াল) বলে খোঁচা দিয়েছিলেন। কিন্তু সিনা এটিকে দুর্বলতা না বানিয়ে বাণিজ্যিক সাফল্যে পরিণত করেছিলেন। তাঁর ছবি দিয়ে পরবর্তীতে ডিজাইন করা হয়েছিল সেই সিরিয়ালের প্যাকেট
৭/১২
২০১১ সালের শেষ দিকে, ডব্লিউডব্লিউই-এর দর্শকরা এই রেসলারকে ঘিরে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েন। স্টেডিয়ামজুড়ে একসঙ্গে শোনা যেত দুই বিপরীত স্লোগান—‘লেটস গো সিনা’  আর ‘সিনা সাক্স’। ঠিক এই সময়েই এক ইভেন্টে সিনা পরিচয় করান নতুন টিশার্টের। এর গায়ে লেখা ছিল রাইজ অ্যাবভ হেইট
২০১১ সালের শেষ দিকে, ডব্লিউডব্লিউই-এর দর্শকরা এই রেসলারকে ঘিরে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েন। স্টেডিয়ামজুড়ে একসঙ্গে শোনা যেত দুই বিপরীত স্লোগান—‘লেটস গো সিনা’  আর ‘সিনা সাক্স’। ঠিক এই সময়েই এক ইভেন্টে সিনা পরিচয় করান নতুন টিশার্টের। এর গায়ে লেখা ছিল রাইজ অ্যাবভ হেইট
৮/১২
হাসল, লয়্যালটি, রেসপেক্ট- এই তিনটি মূলনীতিই জন সিনার জীবনদর্শন। তিনি কঠোর পরিশ্রম (হাসল) করেন, বিশ্বস্ত থাকতে পছন্দ করেন (লয়্যালটি) এবং সবাইকে সম্মান (রেসপেক্ট) করেন। এই মূলমন্ত্রই একজন রেসলারকে লাখো মানুষের প্রেরণায় পরিণত করেছে
হাসল, লয়্যালটি, রেসপেক্ট- এই তিনটি মূলনীতিই জন সিনার জীবনদর্শন। তিনি কঠোর পরিশ্রম (হাসল) করেন, বিশ্বস্ত থাকতে পছন্দ করেন (লয়্যালটি) এবং সবাইকে সম্মান (রেসপেক্ট) করেন। এই মূলমন্ত্রই একজন রেসলারকে লাখো মানুষের প্রেরণায় পরিণত করেছে
৯/১২
স্যালুট সিনেশন শিরোনামে সবুজ টি-শার্ট পরে জন সিনা রেসলম্যানিয়া ২৮ এ দা রকের মুখোমুখি হন। টি-শার্টে লেখা ছিল রাইজ অ্যাবভ হেইট ও পেছনে ইউ ক্যান নট সি মি। এই বার্তাগুলো তাঁর অদম্য মানসিকতার প্রতীক। সেই রাতে হারলেও পরের ম্যাচেই ব্রক লেসনারকে হারিয়ে আবার প্রমাণ করেন সিনা কখনো হাল ছাড়েন না
স্যালুট সিনেশন শিরোনামে সবুজ টি-শার্ট পরে জন সিনা রেসলম্যানিয়া ২৮ এ দা রকের মুখোমুখি হন। টি-শার্টে লেখা ছিল রাইজ অ্যাবভ হেইট ও পেছনে ইউ ক্যান নট সি মি। এই বার্তাগুলো তাঁর অদম্য মানসিকতার প্রতীক। সেই রাতে হারলেও পরের ম্যাচেই ব্রক লেসনারকে হারিয়ে আবার প্রমাণ করেন সিনা কখনো হাল ছাড়েন না
১০/১২
২০১২ সালে ব্রেস্ট ক্যানসার সচেতনতা মাসে জন সিনা গোলাপি রঙের টি-শার্ট পরে রিংয়ে আসেন। এই রাইজ অ্যাবভ ক্যানসার লেখা টি-শার্টের বিক্রির সব অর্থই যায় সুসান জি কোমেন ফাউন্ডেশনের তহবিলে। একজন কুস্তিগির শুধু লড়াকু নন মানবিকতার প্রতীকও হতে পারেন এই দৃষ্টান্তই তৈরি করেন সিনা
২০১২ সালে ব্রেস্ট ক্যানসার সচেতনতা মাসে জন সিনা গোলাপি রঙের টি-শার্ট পরে রিংয়ে আসেন। এই রাইজ অ্যাবভ ক্যানসার লেখা টি-শার্টের বিক্রির সব অর্থই যায় সুসান জি কোমেন ফাউন্ডেশনের তহবিলে। একজন কুস্তিগির শুধু লড়াকু নন মানবিকতার প্রতীকও হতে পারেন এই দৃষ্টান্তই তৈরি করেন সিনা
১১/১২
একই বছর সারভাইভার সিরিজে জন সিনা ডব্লিউডব্লিউইতে তাঁর এক দশক পূর্তি উদ্‌যাপন করেন। টেন ইয়ারস স্ট্রং লেখা টি-শার্টটি ছিল তাঁর অটুট মনোবল আর প্রতিজ্ঞার প্রতীক। পেছনে লেখা ছিল ‘আই অ্যাম নট ডান ইয়েট’। এই টি-শার্ট যেন ঘোষণা করে, জন সিনার পথচলা তখনো শেষ হয়নি
একই বছর সারভাইভার সিরিজে জন সিনা ডব্লিউডব্লিউইতে তাঁর এক দশক পূর্তি উদ্‌যাপন করেন। টেন ইয়ারস স্ট্রং লেখা টি-শার্টটি ছিল তাঁর অটুট মনোবল আর প্রতিজ্ঞার প্রতীক। পেছনে লেখা ছিল ‘আই অ্যাম নট ডান ইয়েট’। এই টি-শার্ট যেন ঘোষণা করে, জন সিনার পথচলা তখনো শেষ হয়নি
১২/১২
২০২৫ সালে এসে সকলকে চমকে দিয়ে ১৭তম বারের মতো ওয়ার্ল্ড টাইটেল জিতে নিলেন সিনা। এই দিনের টিশার্টে ছিল তাঁর বিদায়ের বার্তা। লেখা ছিল ‘দা লাস্ট টাইম ইজ নাও’
২০২৫ সালে এসে সকলকে চমকে দিয়ে ১৭তম বারের মতো ওয়ার্ল্ড টাইটেল জিতে নিলেন সিনা। এই দিনের টিশার্টে ছিল তাঁর বিদায়ের বার্তা। লেখা ছিল ‘দা লাস্ট টাইম ইজ নাও’
প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১২: ৪৪
বিজ্ঞাপন