আম্বানিরা ভারতের অন্যতম আলোচিত ধনাঢ্য পরিবারগুলোর একটি। শুধু ধনরাশির কারণে নয়, সম্প্রতি আম্বানিদের ছোট ছেলে অনন্তের বিয়ে উপলক্ষে একের পর এক তেলেসমাতি ঘটিয়ে তারা কখনো মিস করছেন না খবরের পাতার হেডলাইন হওয়ার সুযোগ। অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের জমকালো সব প্রাক বিবাহ আয়োজন দেখে বিস্মিত বিশ্ববাসী।
আর প্রতিদিনই এই পরিবার নিয়ে জানা যাচ্ছে নানা তথ্য কিন্তু আপনি কি জানেন রাধিকা তার হবু স্বামী অনন্তের তুলনায় খানিকটা বড়? শুধু অনন্ত আর রাধিকাই নয় আম্বানি পরিবারে রয়েছে এমন আরো উদাহারণ। ভারতীয় উপমহাদেশের পরিবারগুলোতে এ ধারা খুব বেশি না থাকলেও আম্বানি পরিবার এক্ষেত্রে আধুনিক মানসিকতার উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। চলুন জেনে আসা যাক আম্বানি পরিবারের এমন তিন কাপলের কথা যেখানে স্ত্রীরা স্বামীর থেকে বয়সে বড়।
মুকেশ আম্বানির ছোট ভাই অনীল আম্বানি বিয়ে করেছেন ভারতীয় অভিনেত্রী টিনা আম্বানি (টিনা মুনিম) কে। তাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের সম্পর্ক এক পর্যায়ে রূপ নেয় ভালোবাসায়। একদিকে টিনা ছিলেন তখনকার সময়ের সবচেয়ে আলোচিত বলিউড অভিনেত্রী, অন্যদিকে অনিল ছিলেন তৎকালীন সবচেয়ে আরাধ্য ভারতীয় ব্যাচেলর। কিন্তু আপনি কি জানেন টিনা তার স্বামী অনিলের চেয়ে প্রায় দুই বছরের বড়? তারা বৈবাহিক জীবনের প্রায় ৩০ বছর পার করে ফেললেও এ পার্থক্য কখনো তাদের সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পারেনি। তাদের সংসারে আছে দুই সন্তান – জয় আনমোল ও জয় আনশুল।
আম্বানি পরিবারের বড় বউ শ্লোকা মেহতা, আম্বানি পরিবারের বড় ছেলে আকাশের স্কুলের বন্ধু ছিলেন। তারা দুজনে মুম্বাইয়ের ধীরুভাই আম্বানি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে পড়াশোনা করতেন। সেখান থেকেই তাদের সম্পর্কের সূত্রপাত। এখানে উল্লেখযোগ্য, শ্লোকা তাঁর স্বামী আকাশের থেকে প্রায় এক বছরের বড়। শ্লোকার জন্ম ১৯৯০ সালের ১১ই জুলাই অন্যদিকে আকাশের জন্ম তারিখ ছিল ২৩ অক্টোবর, ১৯৯১। কিন্তু তাঁদের মতে ভালোবাসা কোনো জাত-ভেদ, বয়স মানে না। তাদের ছোটবেলা থেকে দীর্ঘদিনের ভালোবাসা পরিণয়ে রূপ পায় ২০১৯ সালে। এখন তাদের সংসারে এক পুত্র ও এক কন্যা রয়েছে।
আম্বানি পরিবারের হবু ছোট বউ রাধিকা। তার জন্ম ১৮ ডিসেম্বর, ১৯৯৪। তার পার্টনার অনন্ত আম্বানির জন্ম ১০ এপ্রিল, ১৯৯৫। অর্থাৎ রাধিকা তার হবু স্বামী অনন্তের তুলনায় কিছুটা বড়। এসব আসলে এখনকার দিনে কোনো বিষয়ই নয়। সম্পর্কে মনের মিল আর বোঝাপড়াটাই আসল৷ আর আম্বানি পরিবার ভারতের এক ঐতিহ্যবাহী পরিবার হলেও পুরনো ধ্যানধারণা এড়িয়ে আধুনিক মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছেন তাঁরা।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া