হাল ফ্যাশন ডেস্ক
ভোগ ইউএসের সেপ্টেম্বরের ইস্যুর কাভার স্টোরিতেই নিজের অবসরের কথা ঘোষণা করেন কোর্টের সেরেনা উইলিয়ামস। এর পর থেকে কোর্টে শেষবারের মতো ‘সেরেনার জাদু’ দেখার অপেক্ষায় ছিল পুরো বিশ্ব। ২৯ আগস্ট তাঁর প্রথম ম্যাচ দেখতে বিলি জিন কিং ন্যাশনাল সেন্টারে উপস্থিত হয়েছিলেন ২০ হাজারের বেশি দর্শক। আর এই দর্শকদের সামনে সেরেনা উইলিয়ামস কোর্টে ঢোকেন ঠিক সত্যিকারের রানির বেশে।
নিজের প্রথম ম্যাচের সন্ধ্যায় সেরেনা কোর্টে আসেন ক্রিস্টাল এমবেলিশড বডিস ও ছয় লেয়ারের টুটু স্কার্ট পরে। ফিগার স্কেটিং প্রাণিত এই আউটফিটের ক্রিস্টালগুলো এমনভাবে বোনা হয়েছে, যা দেখতে গ্যালাক্সির উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো দেখায়। স্কার্টের ছয়টি লেয়ার সেরেনার ছয়বার ইউএস ওপেন জয়ের স্মৃতিকে মনে করিয়ে দেয়। নাইকির সঙ্গে কোলাবেরেশন করে সেরেনা নিজেই তাঁর এই ড্রেস ডিজাইন করেছেন।
এখানেই শেষ নয়। পায়ে ছিল কাস্টম নাইকি কোর্ট ফ্লেয়ার টু স্নিকারস, যার একপাশে ছিল হীরা বসানো নাইকির লোগো ও অন্য পাশে সোনালি অক্ষরে লেখা সেরেনার নামের আদ্যক্ষর। স্নিকারের কালোর লেসের মাথাগুলো খাঁটি সোনার। এর সঙ্গে ছিল কালো সিরামিকের ডুব্রে বা জুতার লেসের ট্যাগের ওপর হীরা দিয়ে লেখা হয়েছে ‘মামা’ ও ‘কুইন’ শব্দ দুটি।
এই ডুব্রেগুলো এসেছে সেরেনার গয়নার ব্র্যান্ড সেরেনা উইলিয়ামস জুয়েলারি থেকে। নিঃসন্দেহে এটি টেনিস কোর্টে সেরেনার পরা সবচেয়ে চোখধাঁধানো ফ্যাশনেবল আউটফিট। পশ্চিমা ফ্যাশন ম্যাগাজিনগুলো বেশ ফলাও করে তাঁর এই লুকের খবর প্রচার করছে।
সেরেনা উইলিয়ামস এর আগেও টেনিস কোর্টে তাঁর ফ্যাশন স্টেটমেন্ট দিয়ে মন্ত্রমুগ্ধ করেছেন। অবশ্য এটি তাঁর জন্য কোনো অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। ফ্যাশনের প্রতি ভালোবাসা তাঁর আজীবনের। ২৩ বারের গ্র্যান্ড স্লামজয়ী সেরেনা এই ভালোবাসা থেকে ফ্যাশন ডিজাইনের ওপর ডিগ্রি নিয়েছেন আমেরিকার আর্ট ইনস্টিটিউট অব ফোর্ট লডারডেল থেকে।
২০১৮ সালে লঞ্চ করেন নিজের ফ্যাশন ব্র্যান্ড এস বাই সেরেনা। গত বছর নাইকি তাঁকে তাদের ডিজাইনিং টিমের একজন সদস্য হিসেবে নিযুক্ত করেন। অর্থাৎ, সেরেনা উইলিয়ামস কেবল টেনিস কোর্টের রানি নন, একজন ফ্যাশন ডিজাইনার ও স্টাইল আইকনও বটে। টেনিস থেকে অবসরের পর তিনি পুরোপুরি ডিজাইনে মন দেবেন বলেই ধরে নিচ্ছেন সবাই।
উপরের ছবি: রয়টার্স