পিৎজা না খেলেও সারা আলী খান করলেন  পিৎজারই বিজ্ঞাপন
শেয়ার করুন
ফলো করুন

অল্প কদিনেই দারুণ অভিনয় ও উজ্জ্বল পর্দা উপস্থিতির মাধ্যমে বরাবরই প্রশংসা কুড়িয়েছেন সারা। প্রতিভা আর কাজের প্রতি অনুরাগের সঙ্গে সঙ্গে সহজাত সৌন্দর্য ও চমৎকার ফিটনেসও তাঁকে সফল হতে সাহায্য করেছে। কিন্তু একসময় ফুডি বলে বিখ্যাত সারাকে এজন্য করতে হয়েছে অনেক বলিদান। আর তার মধ্যে প্রিয় খাবার পিৎজাকে বিসর্জন দেওয়া এক কঠিন বিষয় ছিল নবাব-কন্যার জন্য।

মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই অত্যন্ত পছন্দের ইতালীয় খাবারটি ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পরও সারা আলী খানকে সম্প্রতি দেখা গেল স্বনামধন্য পিৎজা চেইনের বিজ্ঞাপনে। খোদ সারার ইন্সটাগ্রামেই রয়েছে এই ভিডিও। পিৎজায় কামড় বসানোর সময় তিনি যে একজন খানদানি পিৎজা-প্রেমী- তা বোঝাই যাচ্ছিল।

বিজ্ঞাপন

সুন্দর ত্বকের অধিকারিণী সাইফকন্যা ত্বকের যত্নে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করে থাকেন। তিনি মনে করেন, প্রত্যেকেরই উচিত নিজেকে ভালোবাসা। আর এর জন্য প্রয়োজন নির্দিষ্ট ডায়েট চার্ট মেনে নিজের শরীর ও মনকে সুস্থ ও সজীব রাখা। তাই নিয়ম করে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই তিনি পানি পান করেন। এটি একদিকে যেমন শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করে, পাশাপাশি সারা দিন কর্মক্ষম ও সুন্দর থাকতে সাহায্য করে। তিনি চিনি যতটা সম্ভব কম খাওয়া কিংবা পরিহার করার চেষ্টা করেন এবং নিয়মিত গ্রিন টি পান করে থাকেন।

বন্ধুমহলে একসময় ভোজনরসিক হিসেবে পরিচিতি থাকলেও নিজেকে পরিবর্তন করে এখন অনেকেরই ফিটনেস আইকন সারা। তবে এ প্রস্তুতি বলিউড পাড়ায় নাম লেখানোর বেশ আগে থেকেই শুরু করলেও তা ধরে রাখাটা তাঁর পক্ষে বেশ খুব একটা সহজ ব্যাপার ছিল না। কারণ, সুস্বাদু খাবারের প্রতি তাঁর ছিল বিশেষ ঝোঁক। এমনও সময় গেছে যে সকালের নাশতা, দুপুরের খাবার, এমনকি রাতের খাবারেও তিনি পিৎজা খেয়েছেন। তবে প্রতিভাবান এ অভিনেত্রী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন নিজেকে বদলে ফেলতে। তাই তো নিজের ফিটনেস ধরে রাখতে স্বাস্থ্যকর যাপন রুটিন মেনে চলছেন তিনি। আর বিসর্জন দিয়েছেন নিজের সবচেয়ে প্রিয় খাবার পিৎজাকে।

বিজ্ঞাপন

বর্তমানে হার্ট-ফ্রেন্ডলি খাবার তাঁর পছন্দের তালিকার শীর্ষে। অল্প তেল মসলায় রান্না করা সারার প্রাত্যহিক খাবার পরিপাকে সহজ আর শরীরে অতিরিক্ত মেদও জমতে দেয় না। ডেজার্টে তাঁর প্রিয় পুডিং ও পেস্ট্রি, যা তিনি ইদানীং বেশ মেপে খাওয়ার চেষ্টা করে থাকেন। বরং এখন গ্রিক ইয়োগার্টে প্রোটিন পাউডার আর কফি ছড়িয়ে খান তিনি। কফি তাঁর খুবই প্রিয়। পছন্দ করেন আমেরিকানো।

সকালের নাশতায় তিনি মূলত ফলমূল ও বাদাম খেয়ে থাকেন। আর কাজের চাপ বাড়লে ডিম আর মুরগির মাংস যোগ হয় এতে। তবে মাঝে মাঝে দক্ষিণ ভারতীয় খাবারও খান তিনি। উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে তিনি সবুজ জুস ও অ্যালকালাইন–জাতীয় খাবার প্রচুর পরিমাণে খেয়ে থাকেন। বিভিন্ন রকমের সবজি, বিশেষ করে সবুজ শাকসবজি খেতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন সারা। দুপুরের মেনুতে থাকে শস্যজাতীয় খাবারের পাশাপাশি ডিম ও গ্রিল্ড চিকেন। এই সুপার ফিট তারকা মিক্সড ভেজিটেবল স্যুপও খেতে পছন্দ করেন। আবার কখনো কখনো মন চাইলে তিনি রুটির সঙ্গে ডাল ও সবজি খেয়ে থাকেন। বিকেলে হালকা স্ন্যাকেই হয়ে যায় তাঁর। তা ছাড়া সি ফুডও রয়েছে তাঁর পছন্দের তালিকায়। তাই রাতের খাবারে মাছ বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ খেতে ভালোবাসেন তিনি।

সারা দিনের কর্মব্যস্ততায় শরীরে যেন কোনো ধরনের ঘাটতি না হয়, সেদিকে রয়েছে সারার সজাগ দৃষ্টি। ফলে নিয়মমাফিক খাওয়া, ঘুম, ব্যায়াম ও কায়িক শ্রমের মাধ্যমে নিজেকে ফিট রাখার বিকল্প নেই বলেই নির্দিষ্ট রুটিন অনুসরণ করেন তিনি। নিয়মিত ঘুমের ব্যাপারে তিনি কোনো আপস করেন না। সৌন্দর্যসচেতন এ শিল্পী রাতে হালকা ব্যায়াম করে বেশ দ্রুত ঘুমিয়ে পড়েন। সাধারণত সাত-আট ঘণ্টা ঘুমান তিনি। সারার মতে, শরীর সুস্থ রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ওয়ার্কআউট করে ভারসাম্য বজায় রাখাটা খুব জরুরি, যা তিনি সব সময় করে থাকেন।

নিয়মিত জিম ও অন্যান্য ব্যায়ামের মাধ্যমে তিনি নিজেকে সতেজ ও প্রাণবন্ত রাখেন। তবে এসবের মধ্যে নাচ তাঁর সবচেয়ে প্রিয়। তিনি মনে করেন, নিয়মমাফিক খাবারের পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা, ঘুম ও বিশ্রামেরও প্রয়োজন রয়েছে। তাই তিনি প্রতিদিন নিয়মমাফিক ডায়েট চার্ট অনুসরণের পাশাপাশি নিজের জন্য উপযুক্ত যাপন রুটিন নির্ধারণ করে তা অনুসরণ করেন। আর হাজারো ব্যস্ততার মাঝে তাঁর সবচেয়ে ভালো সময় কাটে যখন তিনি নিজের জন্য একটু সময় বের করে পছন্দের গান শোনেন।

ছবিঃ ইন্সটাগ্রাম

প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪: ০০
বিজ্ঞাপন