এই তো ১৭ মার্চ টেলর সুইফট ইরাস ট্যুরের এক বছর পূর্ণ হলো। কিন্তু এখনো সেই ঐতিহাসিক সংগীত সফরে দুনিয়া মাতিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। এই এক ট্যুর দিয়ে বড় বড় রেকর্ডের মালিক হয়েছেন টেলর, হয়েছেন বিলিয়নিয়ার। পেয়েছেন টাইমস ম্যাগাজিনের বর্ষসেরা ব্যক্তিত্বের এবং অ্যাপল মিউজিকের বর্ষসেরা শিল্পীর খেতাব। গত বছরের ১৩ অক্টোবর মুক্তি পেয়েছিল প্রামাণ্যচিত্র ‘টেলর সুইফট: দ্য ইরাস ট্যুর’। মুক্তির মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে এই মুভি বিশ্বের সর্বোচ্চ আয়কারী কনসার্ট মুভির তকমা পেয়েছে। এবার নতুন আরেকটি রেকর্ডের জন্ম দিয়েছে এই সিনেমা।
১৪ মার্চ ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ডিজনি প্লাসে মুক্তি পেয়েছে ‘টেলর সুইফট: দ্য ইরাস ট্যুর’–এর নতুন সম্প্রসারিত সংস্করণ। মুক্তির প্রথম সপ্তাহান্তে ৪ দশমিক ৬ মিলিয়ন ভিউ পেয়েছে এই মুভি। আর দেখা হয়েছে মোট ১৬ দশমিক ২ ঘণ্টা। এই রানটাইম দিয়ে মুভিটি ডিজনি প্লাসে সবচেয়ে বেশি দেখা মিউজিক ফিল্মে পরিণত হয়েছে।
ডিজনি প্লাসে এটি ছাড়াও আছে ‘এলটন জন লাইভ: ফেয়ারওয়েল ফ্রম ডজার স্টেডিয়াম’, ‘ব্ল্যাক ইজ কিং: আ ফিল্ম বাই বিয়ন্সে’, ‘বিটলস গেট ব্যাক’, বিলি আইলিশের ‘হ্যাপিয়ার দ্যান এভার: আ লাভ লেটার টু লস অ্যাঞ্জেলেস’-এর মতো মিউজিক ফিল্ম। কিন্তু এই সব মুভিকে ছাড়িয়ে এখন অনন্য উচ্চতায় আছে টেলরের দ্য ইরাস ট্যুর কনসার্ট মুভি।
এই মুভির সম্প্রসারিত সংস্করণে পাঁচটি বোনাস গান যোগ করা হয়েছে। সেগুলো হলো ‘কার্ডিগান’, ‘ডেথ বাই আ থাউজেন্ড কাটস’, ‘মেরুন’, ‘ইউ আর ইন লাভ’, ‘আই ক্যান সি ইউ’। শেষের ৪টি গানের সঙ্গে ২৬ মিনিটের দীর্ঘ অ্যাকুইস্টিক সংগ্রহের সঙ্গে যোগ হচ্ছে ‘আওয়ার সং’ ও ‘ইউ আর অন ইয়োর ওন’। নতুন সংস্করণের ব্যাপ্তি প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা। ডিজনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এর স্ট্রিমিং স্বত্বের জন্য তারা ব্যয় করেছে ৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। নতুন রেকর্ড দেখে বলাই যায়, তাদের এত ডলার খরচ করা সার্থক হয়েছে।
ছবি: টেইলর সুইফটের ইন্সটাগ্রাম