কনের সাজ মানেই যে লাল শাড়ি আর ঝলমলে সোনালি গয়না, তা কিন্তু নয়। আমাদের দেশে ঐতিহ্যগতভাবে লাল বেনারসি আর গা–মোড়ানো সোনার গয়নায়ই অবশ্য বিয়ের কনেকে কল্পনা করি আমরা। তবে এ যুগের ফ্যাশন মানেই যেন স্রোতের বিপরীত ধারায় চলা। একটু অন্য রকম কিছু, সবার থেকে আলাদা করা সাজপোশাকই বেশি পছন্দ আমাদের। বিয়ের সাজের ক্ষেত্রেও এখন প্রথা-ভাঙা কনের সাজ ট্রেন্ডে এখন। তবে এমনিতে জমকালো পোশাকের ক্ষেত্রে কালো পোশাক সবার প্রথম পছন্দ হলেও সচরাচর এ রঙের সাজে কোনো বিয়ের কনেকে দেখা যায় না। আর তা মূলত সংস্কারবশতই।
তাই তো আগলভাঙা ফ্যাশনের এ যুগে কৃষ্ণবর্ণ জমকালো শাড়ি, চোখে পড়ার মতো ব্যতিক্রমী মেকওভারে কনে রূপে জনপ্রিয় আর গ্ল্যামারাস অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়ার ছবিগুলো সবার নজর কাড়ছে। তবে গয়নার ক্ষেত্রে একদমই ঐতিহ্যবাহী ডিজাইনই বেছে নেওয়া হয়েছে।
সোনালি জরির বুননে ঝলমলে কালো জমিনের বেনারসিতে টকটকে লাল আঁচল। গভীর নেকলাইনে একরঙা লাল ব্লাউজের হাতা নাতিদীর্ঘ। গলার দুই লহরের ভারী হার ও কানের ক্ল্যাসিক ঝুমকায় কুন্দন ও পাথরের জমকালো কাজ। হাতের বালাতেও একই ডিজাইন। মাঝের লাল রেশমি চুড়িগুলো যেমন আকর্ষণ বাড়াচ্ছে, তেমনি চোখে পড়ছে হাতের স্টেটমেন্ট আংটির বড় চৌকোনা সবুজ পাথর।
নাকের নথ আর মাথার টিকলিসহ জড়োয়া হাউসের পুরো গয়নার অনসম্বলটিই অনন্যসাধারণ। চন্দনচর্চার বদলে উইংড প্যাটার্নে কালোর সমন্বয়ে মোটা করে দেওয়া সাদা-রুপালি আইলাইনার আর স্টোনের সজ্জা মিলে এক নাটকীয়তা যোগ করেছে চোখের সাজে। সেমি ম্যাট ফিনিশ ও ন্যুড ঠোঁটের সাজে সফট গ্ল্যাম মেকওভারটি গ্ল্যাম মেকওভার বাই নাভিন আহমেদের করা। ক্ল্যাসিক ড্রেপিং আর ঘোমটায় বাঙালি আমেজ অক্ষুণ্ণ। আর গয়নার সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়া হাতের জমকালো পুঁটুলি ব্যাগ পূর্ণতা এনেছে পুরো সাজপোশাকে।
ছবি: ইন্সটাগ্রাম
ফটোগ্রাফার: রনি রেজাউল
গয়না: জড়োয়া হাউস
মেক ওভার: গ্ল্যাম মেকওভার বাই নাভিন আহমেদ