বড় পর্দা থেকে শুরু করে সামাজিক মাধ্যম—সব জায়গাতেই ফিটনেস গোলস দিয়ে চলেছেন বলিউডের অন্যতম প্রিয়মুখ দিশা পাটানি। বহুল আলোচিত এ তারকা নিজের ফিটনেসের ব্যাপারে বেশ সচেতন। তাঁর মতে, নিজেকে সুন্দর রাখাও একটি শিল্প। এর প্রতিফলন দেখা যায় তাঁর ব্যক্তিগত রুটিনে।
দিশার উত্থান ঘটেছিল ‘এম এস ধোনি দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ দিয়ে। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। এক সাক্ষাৎকারে দিশা বলেন, তথাকথিত কোনো গডফাদার ছাড়াই বলিউডে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। তাঁর সৌন্দর্যে কুপোকাত ভক্তরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি কোনো ছবি পোস্ট করলে মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। মজার বিষয় হচ্ছে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য যখন মুম্বাইয়ে এসেছিলেন তিনি, সঙ্গে ছিল মাত্র ৫০০ টাকা। উপরন্তু তাঁর কোনো ফিল্মি ব্যাকগ্রাউন্ডও নেই। তাই তাঁকে বলিউডে বেশ সতর্কই থাকতে হয়। অভিনয় করতে তিনি ভালোবাসেন আর সেটাই করে যেতে চান বলে জানান এ শিল্পী। সৌন্দর্য–রহস্য নিয়ে তিনি বলেন, সুন্দর হতে হলে অধ্যবসায়ের প্রয়োজন। কারণ, নিজেকে সুন্দর রাখাও একটি শিল্প, যা সবাই পারেন না।
কাজের ব্যস্ততার কারণেই সব সময় নিয়ম মেনে চলাফেরা ও খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত দিশা। তিনি সাধারণত সকালের নাশতা করেন না, অর্থাৎ তিনি ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ে অভ্যস্ত। তবে ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষায় তিনি প্রচুর পানি পান করে থাকেন।
সারা দিনের কর্মব্যস্ততার ফলে শরীরে যেন কোনো প্রকার ঘাটতি না হয়, সেদিকে তাঁকে লক্ষ রাখতে হয়। নিয়ম করে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই তিনি গ্রিন টি ও প্রচুর পরিমাণে পানি পান করে থাকেন। এটি একদিকে যেমন শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করে, তেমনি তাঁকে সারা দিন কর্মক্ষম ও সুন্দর থাকতে সাহায্য করে।
দুপুরের খাবার হিসেবে তিনি প্রচুর ফলমূল খেয়ে থাকেন। কলা, তরমুজ আর স্ট্রবেরি তাঁর খুব প্রিয় ফল। ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে গ্রিন জুস ও অ্যালকালাইন–জাতীয় খাবার প্রচুর পরিমাণে খেয়ে থাকেন দিশা। বিভিন্ন রকমের সবজি, বিশেষ করে সবুজ শাকসবজি খেতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন তিনি।
স্যুপ আর ডামপ্লিং তাঁর খুবই প্রিয়। কখনো কখনো খাবারের তালিকায় থাকে কেক বা কাস্টার্ড। তিনি স্ট্রবেরি মিল্কশেক খেতে ভালোবাসেন। রাতে মিক্সড সালাদ, ভেজিটেবল পাকোরা ও সেদ্ধ ডিম খেয়ে থাকেন। উৎসব উপলক্ষে বিরিয়ানি তাঁর প্রিয় খাবার।
রাতে ঘুমের আগে প্রতিদিন নিয়ম করে এক গ্লাস দুধ পান করে থাকেন। শরীর সুস্থ রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ওয়ার্কআউট করে ভারসাম্য বজায় রাখা খুব জরুরি, তিনি সব সময় সেটা করে থাকেন।
আর নিয়মমাফিক খাবারের পাশাপাশি নিয়মিত ঘুম ও বিশ্রামেরও প্রয়োজন রয়েছে। তাই তিনি প্রতিদিন ওয়ার্কআউটের পাশাপাশি ঘুমের ব্যাপারেও বেশ সচেতন। তিনি সাধারণত রাত আটটার মধ্যে রাতের খাবার খেয়ে নেন। এরপর এক ঘণ্টা হাতে সময় নিয়ে কিছুক্ষণ হালকা ব্যায়াম করে ও অল্প বিশ্রাম নিয়ে বেশ তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়েন।
ছবি: ইন্সটাগ্রাম