জংকুক সম্পর্কে যে ৯ তথ্য বিটিএস আর্মির অবশ্যই জানা উচিত
শেয়ার করুন
ফলো করুন

বিটিএস আর্মির হার্টথ্রব বলা যায় জংকুককে। কোরিয়ান পপ গ্রুপ বিটিএসের কনিষ্ঠতম এই সদস্য কিন্তু নাচগানের সঙ্গে সঙ্গে আরও অনেক কিছুতেই পারদর্শী। ২৬ বছর বয়সেই বিলিয়নিয়ার হয়ে গেছেন তিনি। তাঁর গান সম্পর্কে যাঁদের যতটুকু দোনোমনা ভাব ছিল, গত ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টে তাঁর পারফরম্যান্স দেখে সবাই এক বাক্যে বলেছেন, জংকুকই সেরা।

রোলিং স্টোন ম্যাগাজিনের সর্বকালের সর্বসেরা ২০০ গায়কের একজন হয়েছেন জেওন জংকুক। বিটিএস আর্মি তাঁকে জংকুক নামেই হৃদয়ে ধারণ করে। এবার এমটিভি মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসে বিয়ন্সে, ডুয়া লিপা, বিলি আইলিশ ও দোজা ক্যাটকে পেছনে ফেলে জংকুকের সোলো সিঙ্গেল ‘সেভেন’ জিতে নিয়েছে দারুণ এই সম্মানজনক পুরস্কার। ইতিহাসে এই প্রথম কোনো কে–পপ একক শিল্পী এ পুরস্কার পেলেন। ১৯৯৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে জন্ম নেওয়া জংকুক দুনিয়া–কাঁপানো কে–পপ গ্রুপ বিটিএসের মূল ভোকাল, সাবর‍্যাপার আর লিড ড্যান্সার। বুসান প্রিন্সও বলা হয় তাঁকে।

বিজ্ঞাপন

জংকুকের ডেবু হয় ২০১৩ সালে। এবার তাঁর সম্পর্কে কিছু চমকপ্রদ তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

১. জংকুকের স্টেজের নাম অন্য কিছু হওয়ার কথা ছিল

এই কে-পপ সুপারস্টারের জন্ম বুসানে। তাই সেখানকার স্থানীয় প্রতীক সিগাল পাখির নামানুসারে তাঁর স্টেজের নাম সিগালই রাখতে চেয়েছিলেন জংকুক। পরে নিজের নাম জেওংকুকের বানান বদলে জংকুক করে ফেলেন তিনি। সেটাই তাঁর নাম হয়ে যায়।

২. বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারেন জংকুক

বিটিএস হার্টথ্রব জংকুক বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজাতে খুব ভালোবাসেন। গিটার ও ড্রামসে তিনি দারুণ পারদর্শী। বিভিন্ন বিটিএস শোতে তাঁকে গিটার হাতে বা ড্রাম সেটের পেছনে দেখা যায়। লাইভ স্ট্রিমেও গিটার বাজান ভক্তদের জন্য।

৩. জংকুক চমৎকার বিটবক্সিং করেন

ছোটবেলা থেকেই জংকুক বিটবক্সিংয়ের ভক্ত। কণ্ঠের সঙ্গে বিটবক্সের উপাদান সমন্বয় করে মাঝেমধ্যে তিনি ব্যতিক্রমী সুর তৈরি করেন। আবার গান গাইতে গাইতেই বিটবক্সিং শুরু করে দেন এই বিটিএস তারকা।

বিজ্ঞাপন

৪. তায়কোয়ান্দোতে ব্ল্যাক বেল্ট আছে জংকুকের

বিটিএস তারকা জংকুক মার্শাল আর্টেও কম যান না। তায়কোয়ান্দোতে রীতিমতো ব্ল্যাক বেল্ট আছে তাঁর। কোরিয়ান মার্শাল আর্টে তিনি ১২ বছর বয়স থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করেন। ছোটবেলায় তাঁর এক তায়কোয়ান্দো অনুশীলনের ভিডিওতে ২ দশমিক ২ মিলিয়ন ভিউ রয়েছে ইউটিউবে।

৫. বক্সিংয়ের শখও রয়েছে জংকুকের

জংকুক একজন দক্ষ বক্সার। বিটিএসের কনিষ্ঠতম এই সদস্য গত কয়েক বছরে বিভিন্ন সময়ে বক্সিংয়ের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ব্যক্ত করেছেন। তাঁর রীতিমতো প্রশিক্ষণ রয়েছে বক্সিংয়ে।

৬. ফিফার বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজনে তিনি প্রথম কোরিয়ান শিল্পী

ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবলের ২০২২ সালের আসরে জংকুক গান গেয়ে বিশ্ববাসীর মন জয় করে নিয়েছেন। তিনিই প্রথম কোরিয়ান শিল্পী, যিনি বিশ্বকাপের অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেছেন। তিনি ও কাতারের শিল্পী ফাহাদ আল কুবাইসি মিলে বিশ্বকাপের গান ‘ড্রিমারস’ গেয়ে মাত করেছেন সবাইকে সেবার।

৭. চিত্রশিল্পী জংকুক

জংকুকের শিল্পীমন শুধু গানের মধ্য দিয়েই নিজেকে প্রকাশ করেনি, তিনি ছবিও আঁকেন দুর্দান্ত। নিজেদের গ্রুপের রিয়েলিটি শোতে তাঁর এই অনন্য প্রতিভার কথা জানা যায়। গ্রাফিক ডিজাইনে বেশ দক্ষ জংকুক। তিনি সুগা ব্যান্ডের অ্যালবামের কভার ডিজাইনও করেছেন।

৮. ভিডিও গেমের নেশা রয়েছে জংকুকের

জংকুক ভিডিও গেম এতই ভালোবাসেন যে তিনি একদময় পেশাদার গেমার হতে চাইতেন। মাল্টিপ্লেয়ার ফার্স্ট পারসন শুটিং গেম ওভারওয়াচ তাঁর সবচেয়ে প্রিয়। এ ছাড়া টিমফাইট ট্যাকটিকস ও স্টারক্র্যাফটও খেলেন তিনি।

৯. জংকুকের সব ভালোবাসা পোষা কুকুর ব্যামের জন্য

অনেকেই জানতে উৎসুক হন জংকুকের জীবনের ভালোবাসার কথা। এ ধরনের প্রশ্নে তিনি একজনেরই নাম নেন। সে হলো জংকুকের আদরের ডোবারম্যান কুকুর জেওন ব্যাম। বিটিএসের রিয়েলিটি শোতে একে দেখতে পেয়েছেন ভক্তরা।

ছবিঃ ইন্সটাগ্রাম

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫: ০০
বিজ্ঞাপন