দীপিকা পাড়ুকোনের রূপরুটিন
শেয়ার করুন
ফলো করুন

দীপিকা বলেন, স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের জন্য সবার আগে প্রয়োজন সঠিক জীবনযাপন। যেমন খাদ্য, নিয়মিত ব্যায়াম ও পর্যাপ্ত ঘুম। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমে ত্বকের যত্ন নিতে পছন্দ করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

ক্লিনজিং, টোনিং ও ময়েশ্চারাইজিং

দীপিকা পাড়ুকোনের বিউটি টিপসের মধ্যে রয়েছে সিটিএম রুটিন; অর্থাৎ ক্লিনজিং, টোনিং ও ময়েশ্চারাইজিং। তিনি প্রথমে ত্বক ভালোমতো পরিষ্কার করেন, টোনার লাগান এবং শেষে ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন। মেকআপ না তুলে ঘুমাতে যান না তিনি। সারা দিনের ক্লান্তির পরও মেকআপ ভালোমতো উঠিয়ে, সিটিএম রুটিন মেনে তারপর ঘুমাতে যান। রাতের রুটিনে ডিপ কন্ডিশনার নাইট ক্রিম ব্যবহার করেন এই বলিউড-সুন্দরী।

বিজ্ঞাপন

সানস্ক্রিন ব্যবহার

সানস্ক্রিন ব্যবহারের গুরুত্বের ওপর জোর দেন দীপিকা। একটি আন্তর্জাতিক বিউটি ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ম্যাগাজিনে নিজের রূপরহস্যের পেছনের কথা জানান অভিনেত্রী। তিনি জানান, ‘ত্বকের জন্য রোজকার রুটিনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং যে জিনিসটি কখনোই মিস হয় না তা হলো, সানস্ক্রিন। ইনডোর বা আউটডোর শুট, যেখানেই হোক না কেন, সানস্ক্রিন আমার সঙ্গী।’ তিনি আরও বলেন, ‘যখন কোথাও ট্র্যাভেল করি, ব্যাগে এসপিএফযুক্ত সানস্ক্রিন কমপক্ষে দুটি বোতল থাকে। যেন একটি হারিয়ে গেলেও আরেকটি ব্যবহারে কোনো অসুবিধা না হয়। দীপিকা মনে করেন, সানস্ক্রিন ঘরে-বাইরে সব সময় ব্যবহার করা উচিত। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ত্বকের জন্য বিপদ ডেকে আনার আগেই সতর্ক থাকা ভালো।

লুক পরিবর্তনে সঠিক মেকআপ

মেকআপে গন্ডগোল হলে পুরো লুকটাই ভেস্তে যায়। দীপিকা পাড়ুকোন মেকআপের ব্যাপারে খুব সচেতন। তিনি মনে করেন, ভ্রু খুব গুরুত্বপূর্ণ তাঁর সাজে। বেশি চিকন বা বেশি আঁকা ভ্রু তাঁর পছন্দ নয়। এতে লুকটাই নষ্ট হয়ে যায়। চেহারায় যেকোনো একটি ফিচার হাইলাইট করতে পছন্দ করেন তিনি । যেমন স্মোকি আইয়ের সঙ্গে লাউড কোনো লিপস্টিক তিনি পড়েন না। তাঁর ফেবারিট আইশ্যাডোর রং তামাটে ও বাদামি। যখন তিনি ডার্ক লিপস্টিক ব্যবহার করেন, তখন এই আইশ্যাডো পড়েন। ন্যাচারাল লুকের জন্য তিনি ন্যুড কালারের লিপস্টিককেই প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। দীপিকা জানান, দিন ও রাতের মেকআপ অবশ্যই আলাদা হতে হবে।

‘হাইড্রেশন’ উজ্জ্বল ত্বকের চাবিকাঠি

পানি এমন একটি তরল, যা ত্বকের অনেক সমস্যার সমাধান করে। দীপিকা পাড়ুকোনের বিউটি টিপসে সারা দিন পর্যাপ্ত পানি পান করা বিশেষভাবে অন্তর্ভুক্ত। শৈশব থেকেই খেলাধুলার সঙ্গে যুক্ত তিনি, তাই হাইড্রেটেড থাকার গুরুত্ব বোঝেন। ঘুম থেকে উঠেই এক গ্লাস পানি পান করা দীপিকার প্রতিদিনের রুটিন। হাইড্রেশনের মাত্রা বজায় রাখতে প্রতি ঘণ্টায় এক গ্লাস পান করেন এই সুন্দরী।

চুলের যত্নে তেল

দীপিকা পাড়ুকোন যখন ছোট ছিলেন, তখন থেকেই তাঁর মা মাথার ত্বকে এবং চুলে নারকেল তেল দিয়ে ম্যাসেজ করে দিতেন। এই অভ্যাস এখনো রয়েছে তাঁর। ছুটির দিনে তিনি নারকেল তেল হালকা গরম করে চুলে ম্যাসেজ করেন। তা অবশ্যই হতে হবে এক্সট্রা ভার্জিন নারকেল তেল। দীপিকার বিউটি টিপসের আরেকটি হলো, চুল ধোয়ার সময় তিনি ঠান্ডা পানি ব্যবহার করেন। গরম পানিতে চুল ধুলে চুলের আর্দ্রতা কমে যায় এবং শুষ্ক হয়ে যায়।

ত্বকের যত্নে এক্সপেরিমেন্ট না করা

দীপিকা বলেন, ত্বকের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের এক্সপেরিমেন্ট করা উচিত নয়। তিনি প্রাকৃতিক পণ্য ব্যবহার করতে পছন্দ করেন। তাঁর পরামর্শ, স্বনামধন্য ব্র্যান্ডের পণ্য ব্যবহার করা। তিনি বলেন, রেজার থেকে নাইট ক্রিম—এমন পণ্য ব্যবহার করা উচিত, যা সাশ্রয়ী মূল্যের এবং সময়োপযোগী। তবে অবশ্যই নিজের ত্বকের ধরন বুঝে ব্যবহার করতে হবে।

সকালের নাশতা ও সুষম খাদ্য

সকালের খাবার দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই সকালের নাশতা বাদ দেবেন না। দীপিকা দিন শুরু করেন পুষ্টিকর খাবারে। তিনি সকালের নাশতায় দক্ষিণ ভারতীয় খাবার পছন্দ করেন। কিন্তু দোসা খাওয়ার সময় তিনি আলু ভর্তা খান না। স্বাস্থ্যকর সুষম খাবার ত্বককে সুস্থ রাখে। তাই তিনি প্রচুর ফল, শাকসবজি ও বাদাম খান। কফির পরিবর্তে একটি আপেল দিয়ে তাঁর দিন শুরু হয়। মিষ্টি কিছু খেতে ইচ্ছা করলে ডার্ক চকলেটেই দীপিকার ভরসা।

যোগব্যায়াম ও ধ্যান

দীপিকা প্রতিদিন যোগব্যায়াম ও ধ্যানে নিজেকে সময় দেন। যোগব্যায়াম ও ধ্যান উভয়ই তাঁকে ব্যস্ত শিডিউলের চাপ এড়াতে সাহায্য করে। দীপিকার সুন্দর ত্বক, টোনড ফিগারের অন্যতম রহস্য হলো যোগ। আর ধ্যান মনকে রাখে স্থির, সতেজ। তাই রোজকার রুটিনে এটি কোনোভাবেই বাদ দেন না নায়িকা।

ইতিবাচক চিন্তা করুন

ইতিবাচক চিন্তা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। বিউটি টিপসে এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, তার উদাহরণ দীপিকা নিজেই। তিনি মনে করেন, ইতিবাচক চিন্তা থেকে মন সুন্দর থাকে, শরীরও থাকে সতেজ। যার প্রভাব পড়ে ত্বকে। তিনি ছোটবেলা থেকেই এই অভ্যাসে বিশ্বাসী।

নিয়মিত ব্যায়াম

মডেলিংয়ের জগতে আসার আগে দীপিকা ব্যাডমিন্টন প্লেয়ার ছিলেন। প্রতিদিনের স্ট্রেচিং, পাইলেটস, যোগব্যায়াম, সাইকেল চালানো, ট্রেকিংসহ অন্যান্য ক্রিয়াকলাপ তাঁর সুন্দর চেহারা ও অ্যাথলেটিক ফিট ফিগারের আরেকটি কারণ। গভীর সমুদ্রে স্কুবা ডাইভিং করতেও পছন্দ করেন তিনি। আপনি কি জানেন, দীপিকা একজন লাইসেন্সপ্রাপ্ত স্কুবা ড্রাইভার।

পর্যাপ্ত ঘুম

পর্যাপ্ত ঘুম দীপিকা পাড়ুকোনের বিউটি টিপসের মধ্যে অন্যতম। দীপিকা বলেন, তিনি ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমান। কারণ, এটি তাঁর শরীরকে পুনরুজ্জীবিত করে।

ছবি: দীপিকার ইন্সটাগ্রাম হ্যান্ডল

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৩, ০৪: ০০
বিজ্ঞাপন