ব্যায়ামের জন্য নিয়মিত জিমে যাওয়া মোটেও পছন্দ করেন না তিনি। তাই ফিট থাকতে বাড়িতেই নিয়মিত ব্যায়াম করেন। চলুন জেনে নিই, অনন্যা পান্ডের আলট্রা স্লিম বডি ফিটনেস আর সৌন্দর্যের গোপন রহস্য।
১. যোগব্যায়াম করা
নিয়মিত ব্যায়াম করার অনেক শারীরিক সুবিধা রয়েছে। যেমন রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি, হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমা এবং বিপাকক্রিয়া বৃদ্ধি। শুধু তা–ই নয়, নিয়মিত ব্যায়াম ত্বকেও নিয়ে আসে উজ্জ্বলতা। অনন্যা পান্ডের বর্ণনা অনুযায়ী, নিয়মিত যোগব্যায়াম করার ফলে তাঁর ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। নিয়মিত হরমোন প্রবাহের ফলে গালের গোলাপি ভাবও বেড়েছে। যোগব্যায়ামের ফলে রক্তনালি প্রসারিত হয় ও রক্তের প্রবাহ বাড়ে। এ প্রক্রিয়া ত্বকে রক্তের প্রবাহ বাড়ায় এবং ত্বককে অক্সিজেন ও পুষ্টি দেয়।
২. সকালের ওয়ার্কআউটের জন্য সময় বের করা
বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালের ওয়ার্কআউট আপনাকে দিনের বাকি সময়টা ফিট থাকতে সাহায্য করতে পারে। অনন্যা সকালের যোগব্যায়াম শেষ করার পরই নির্ধারণ করেন, তিনি দিনের বাকি সময় কী কী কাজ করবেন। রোজ সকালে ব্যায়াম করা হলে শরীর আরও দক্ষতার সঙ্গে বিপাকক্রিয়া বৃদ্ধি ও চর্বি ক্ষয় করতে পারে।
৩. গতিশীলতা ও নমনীয়তা বাড়ানো
অনেকের কাছেই স্ট্রেচিং ফিটনেস রুটিনের সবচেয়ে কম উপভোগ্য কাজ। তবে পেশি ও জয়েন্টগুলো সুরক্ষিত রাখতে এবং অ্যারোবিক বা ভারোত্তোলন অনুশীলনের সময় আঘাতের ঝুঁকি কমাতে আর গতি ও ক্ষিপ্রতা বৃদ্ধি করার জন্য স্ট্রেচিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে পিলাটিস শরীরের জন্য খুব ভালো। কারণ, এটি শরীরকে প্রসারিত ও শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। পিলাটিস অনন্যার প্রিয় ব্যায়াম। কারণ, তিনি বলেন যে তিনি অতটা ফ্লেক্সিবল নন এবং এই ব্যায়াম তাঁর শরীরের নমনীয়তা বৃদ্ধি করে।
৪. মজার মজার নতুন ব্যায়াম দিয়ে নিজেকে পরীক্ষা করা
যদিও অনন্যা বাড়িতে নিয়মিত ‘হঠ’ যোগ অনুশীলন করেন, তাঁর সাম্প্রতিক পছন্দের ব্যায়াম হলো ‘এরিয়াল’ যোগব্যায়াম। এটি জয়েন্টের চাপ আর মেরুদণ্ডের সংকোচন দূর করে, যা মেঝেতে ব্যায়াম করার কারণে হতে পারে। তা ছাড়া এটি উত্তেজনা কমায় এবং এন্ডোরফিন হরমোন অবমুক্ত করে। সামনে আরও নতুন নতুন যোগব্যায়াম চেষ্টা করার ইচ্ছা আছে এই অভিনেত্রীর, বলেন তিনি।
৫. ডায়েটে দক্ষিণ ভারতীয় খাবার
ফিটনেস পাগল অনন্যা ওয়ার্কআউট ছাড়া সব সময় সুশৃঙ্খল জীবনও যাপন করেন। তাই তিনি ডায়েটে কম মসলা ও তেলযুক্ত দক্ষিণ ভারতীয় খাবারকেই প্রাধান্য দেন। তিনি সকালের নাশতায় দুটি ডিম, কম চর্বিযুক্ত দুধ বা একেবারে দক্ষিণ ভারতীয় খাবার যেমন দোসা, ইডলি বা উপমা খেতে পছন্দ করেন। দুপুরের খাবারে তাজা সবজি, দুইটি রুটি, ভাজা মাছ খেতে পছন্দ করেন অনন্যা। সন্ধ্যায় ফিল্টার কফির সঙ্গে বাদাম খান তিনি। রাতের খাবারে সালাদ, সবজি ও একটি রুটি খান এই অভিনেত্রী। এ ছাড়া অনন্যা তাঁর ডায়েটে অবশ্যই ডাবের পানি, মৌসুমি ফল ও সবজি রাখেন এবং দিনের বিভিন্ন সময়ে এগুলো খেতে ও পান করতে পছন্দ করেন।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, অনন্যা পান্ডে এক সাক্ষাৎকারে নির্দ্বিধায় জানান, তিনি কেএফসি চিকেন পপকর্ন খেতে খুব ভালোবাসেন। শুধু তা–ই নয়, মাঝেমধ্যে তিনি ‘চিট খাবার’ হিসেবে চকলেট চিপ কুকিস, বাটার চিকেন-নান, পিৎজা ও বার্গার খেয়ে থাকেন। কিন্তু তিনি একেবারে নিয়মিত জাঙ্ক ফুড খান না। অনন্যা বলেন, জাঙ্ক ফুড খাওয়ার সময় তাঁর মাথায় থাকে, পরদিন তাঁকে আবার রোজকার খাদ্যপরিকল্পনায় ফিরতে হবে। আর অনন্যা মনে করেন, এটাই তাঁর ফিটনেসের মূল মন্ত্র।
ছবিঃ অনন্যা পান্ডের ইন্সটাগ্রাম হ্যান্ডেল