জার্মানির অন্যতম বৃহত্তম শহর হামবুর্গ। খুব বেশি দিন হয়নি সেখানে অনুষ্ঠিত হয়েছে টেইলর সুইফটের ঐতিহাসিক সংগীত সফর ‘ইরাস ট্যু’র। নাচে-গানে হামবুর্গের সুইফটিদের একদম মাতিয়ে দিয়েছিলেন এই পপ তারকা। তাই তাঁর সম্মানার্থে শহরটির একটি মোম জাদুঘরে একটি মূর্তি উন্মোচন করা হয়। কিন্তু মূর্তিটি দেখে প্রচণ্ড খেপে গিয়েছেন সারা বিশ্বের সুইফটিরা।
হামবুর্গে অবস্থিত মোম জাদুঘরের নাম ‘দ্য পানোপটিকাম’। এটি জার্মানের সবচেয়ে পুরোনো ও বড় মোম জাদুঘর। সেখানে রয়েছে বিশ্বের বিখ্যাত সব ব্যক্তিত্বের মোমের মূর্তি। তবে এত বছরেও পানোপটিকামে টেইলর সুইফটের কোনো মূর্তি তৈরি করা হয়নি। অথচ সেটা বানানো হলেও কর্তৃপক্ষ পড়েছে বিপাকে। আছে চরম সমালোচনার তোপের মুখে।
মোমের মূর্তিটি ২০১৯ সালে আয়োজিত আইহার্ট মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসে টেইলর সুইফট যে সাজে উপস্থিত ছিলেন, সেই লুক থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি করা। তাঁর পরনে আছে নীল পেইলেটসের (বড় সিকুইন বা চুমকি) রম্পার সেট ও ঝলমলে রুপালি বুট। এখানে তাঁর ব্লন্ড চুলগুলো ছেড়ে রাখা হয়েছে।
ঠোঁট আঁকা হয়েছে গাঢ় গোলাপি লিপস্টিক দিয়ে এবং মুখ দেখে মনে হচ্ছে প্রচুর মেকআপ করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে টেইলর সুইফটের মোমের মূর্তির ছবি ও ভিডিও ছবি প্রকাশের পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন সুইফটিরা। এ নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্য করছেন তাঁরা।
যেমন এক সুইফটি বলেছেন, ‘টেইলরের সঙ্গে এমন নোংরামি না করলেও পারত।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘ইনি টেইলর সুইফট নাকি সেইলর টুইফট, সেটা বুঝতে পারছি না।’ আরেক সুইফটি লিখেছেন, ‘এখানে তাঁকে একদম অন্য রকম লাগছে। অত্যন্ত ভয়ংকর দেখাচ্ছে।’
বিশ্বের বিখ্যাত মোম জাদুঘর মাদাম তুসোয় এই পপ আইকনের কয়েকটি মোমের মূর্তি আছে। সেই মূর্তিগুলোতে টেইলর সুইফটকে বেশ ভালোভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
দ্য পানোপটিকাম কর্তৃপক্ষ তাঁর মূর্তি বানিয়ে এভাবে যে ফেঁসে যাবে, তা তারা ভাবতেও পারেনি। অনেক সুইফটি আশা করছেন, জাদুঘর কর্তৃপক্ষ হয়তো চাপের মুখে পড়ে টেইলর সুইফটের নতুন একটি মূর্তি তৈরি করবেন।