হাল ফ্যাশন ডেস্ক
ভারতের বিখ্যাত ডিজাইনার মাসাবা গুপ্তা তাঁর সদ্য লঞ্চ করা সৌন্দর্যপণ্যের পসরা ‘লাভচাইল্ড’কে বিউটি ব্র্যান্ড বলতে নারাজ। বরং একে তিনি ‘কসমো ওয়েলনেস ব্র্যান্ড’ বলতেই বেশি স্বচ্ছন্দ। সব ধরন ও রঙের ত্বক আর সব বয়সের মানুষের জন্য বিউটি প্রোডাক্ট তৈরি করার প্রত্যয়ে মাসাবা প্রস্তুত তাঁর লাভচাইল্ড নিয়ে।
মাসাবা বলেন, সৌন্দর্যের ব্যাপারে বিভিন্ন রকমের সামাজিক বাধা ও দ্বিধা-দ্বন্দ্বকে এ কসমো ওয়েলনেস ব্র্যান্ডের মাধ্যমে ঝেড়ে ফেলাই তাঁর লক্ষ্য। শুধু দেখতে ভালোলাগা নয়, নিজের ত্বক ও নিজস্ব সৌন্দর্যের যত্ন নিয়ে নিজেকে ভালো রাখাই লাভচাইল্ড ব্র্যান্ডের মূলমন্ত্র। টাইমস অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে এক কথোপকথনে তিনি তাঁর নতুন সৌন্দর্য ব্র্যান্ড নিয়ে তাঁর ভাবনার কথা জানান।
প্রথমেই চলে আসে লাভচাইল্ড ব্র্যান্ডের নামকরণের প্রসঙ্গ। মাসাবা গুপ্তাকে তাঁর নিজের পরিশ্রম আর মেধার বদৌলতে গড়ে তোলা আকাশছোঁয়া সাফল্যের নিরিখে নয়, বরং প্রাথমিকভাবে নীনা গুপ্তা ও ভিভ রিচার্ডসের লাভচাইল্ড বা বিবাহবহির্ভূত সন্তান বলে আখ্যা দিতে উৎসুক সমাজ। আর এই লেবেলিংকেই নিজের শক্তিতে পরিণত করে মাসাবা এ নামেই প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন নিজের ব্র্যান্ড।
মাসাবা বলেন, নারীদের এক বিরাট অংশ সামাজিকভাবে বিভিন্ন ধরনের লেবেলিংয়ের শিকার হয়। এর একটি বড় অংশ হয়ে থাকে বিভিন্ন রকমের শারীরিক সৌন্দর্য–সম্পর্কিত বৈশিষ্ট্য বা সমস্যাসংক্রান্ত। নিজের গায়ের রং, অ্যাকনে হওয়ার প্রবণতা আর স্পর্শকাতর ত্বক নিয়ে কিশোরী বয়স থেকেই অনেক সমস্যায় পড়েছেন মাসাবা। একসময় প্রসাধনী আর মেকআপ সামগ্রীর যথেচ্ছ ব্যবহার করা শুরু করেন তিনি। কিন্তু এ চড়া মেকআপ আর অতিরিক্ত প্রসাধনী তাঁকে স্বস্তি দেয়নি।
মাসাবার অনুসারী ও অনুরাগী কম নয়। বরং সামাজিক মাধ্যমে এই মেয়েরা যাঁরা নিজেদের ‘মাসাবাট্রাইব’ বলে পরিচয় দেন, তাঁদের জন্য মাসাবার পরামর্শ তাঁরা যেন মিনিমাল মেকআপে বিশ্বাসী হন। আর তিনিও সেটা চান।
ট্রেন্ডি আর এক্সপেরিমেন্টাল মেকআপ হোক কিশোরী ও তরুণীদের উচ্ছ্বাসের উৎস, কিন্তু তা ত্বকের ক্ষতি না করে। নিজের ত্বকেই তৃপ্ত হোক ‘ওয়্যার ইয়োর ওন স্কিন’ মন্ত্রে বিশ্বাসী হবে তারা, এটাই প্রত্যাশা মাসাবার।
লাভচাইল্ড গ্রাহকদের ভালো রাখার ব্যাপারে খুবই মনোযোগ দিচ্ছে। তাই তো এখানে বিশাল রেঞ্জের ঠোঁট ও নখের কালার কসমেটিকসের সঙ্গে সঙ্গে দুশ্চিন্তা দূর করতে সহায়ক এসেনশিয়াল অয়েল, স্বস্তিদায়ক ফেস মিস্ট ও ওয়াইপস রাখা হয়েছে। কিউট প্যাকেজিংয়ের নেপথ্যে রয়েছে কিশোরী ও তরুণীদের আকৃষ্ট করার আকাঙ্ক্ষা। ওয়েলবিয়িং আর সেলফ লাভ—ভালো থাকা আর নিজেকে ভালোবাসার মূলমন্ত্রে নতুন প্রজন্মকে দীক্ষিত করতে চান মাসাবা গুপ্তা লাভচাইল্ডের মাধ্যমে, বলেছেন তিনি।
ছবি: লাভচাইল্ডের ইন্সটাগ্রাম হ্যান্ডল