আমাদের শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় মুখের ত্বক সবচেয়ে বেশি স্পর্শকাতর হয়ে থাকে। সুস্থ, কোমল ও উজ্জ্বল ত্বক পেতে আমরা নানা রকম প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু অনেক সময়ই এসব উপকরণ ব্যবহার করে আশানুরূপ ফলাফল পাওয়া যায় না। বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে, যেগুলো ত্বকের স্বাস্থ্যরক্ষায় অত্যন্ত উপকারী এবং ত্বকে লাগালে কার্যকর ফলাফল পাওয়া যায়। রাইস ওয়াটার ত্বকের জন্য এমনি একটি উপকারী উপাদান। এটি সম্পূর্ণ ঘরোয়া ও কেমিক্যালমুক্ত হওয়ায় ব্যবহারও করা যায় নিশ্চিন্তে।
জাপানে নারীদের ত্বকের যত্নে চাল খুব গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর একটি উপাদান। তাঁরা চালের নির্যাস, পেস্ট ও চাল ধোয়া পানি বিভিন্নভাবে ব্যবহার করে থাকেন। ত্বক পরিচর্যার ক্ষেত্রে এটি খুবই উপকারী বলে বিবেচিত। সাম্প্রতিক কালে বিভিন্ন প্রসাধনীর কাঁচামাল হিসেবেও রাইস ওয়াটার ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
রাইস ওয়াটারের নিয়মিত ব্যবহার ত্বককে কোমল ও মসৃণ করে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। প্রাকৃতিক ক্লিনজার ও টোনার হিসেবে রাইস ওয়াটারের ব্যবহার বহুল প্রচলিত। এটি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রেখে ত্বককে নরম ও কোমল করে তোলে। এ ছাড়া সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে সুরক্ষা প্রদান করে রাইস ওয়াটার।
গবেষণায় দেখা গেছে, বিভিন্ন ত্বকের সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে প্রতিদিন রাইস ওয়াটার দিয়ে গোসল করা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এমনকি স্পর্শকাতর ত্বকের জন্যও রাইস ওয়াটার অত্যন্ত কার্যকর। এটি ব্রনের সমস্যাও দূর করে। রাইস ওয়াটারে আছে ভিটামিন এ, সি ও ই, ফেরুলিক অ্যাসিড, ফ্ল্যাভনয়েড ও ফেনোলিক কম্পাউন্ড, যা ত্বকের অকাল বার্ধক্য রোধ করতেও ভূমিকা রাখে।
টোনার হিসেবে
কিছু পরিমাণ পানির সঙ্গে চালের গুঁড়া বা ভাতের মাড় মিশিয়ে পাতলা করে নিন। এরপর মিশ্রণে সামান্য গোলাপজল যোগ করুন। এরপর তা ত্বকে লাগিয়ে নিন। এটি টোনার হিসেবে দারুণ কার্যকর।
ক্লিনজার হিসেবে ব্যবহার
রাইস ওয়াটার বরফশীতল করে মুখে প্রয়োগ করুন। এরপর ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে।
সিরাম হিসেবে ব্যবহার
রাইস ওয়াটারের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল ও ভিটামিন ই ক্যাপসুল ভেঙে মিশিয়ে নিন। এরপর একটি বোতলে নিয়ে তা ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিন। এরপর মুখে প্রয়োগ করুন। এটি ত্বকের নমনীয়তা ও কোমলভাব ফিরিয়ে আনতে সক্ষম।
তথ্যসূত্র: ফেমিনা ডটইন ও হাল ফ্যাশন