গরম মানেই ঘাম ও তেল চিটচিটে ভাব। এমন অবস্থায় মেকআপ করার ঝক্কি অনেক। এ জন্য দরকার দীর্ঘস্থায়ী মেকআপ। এর পাশাপাশি মিনিমাল বিউটি ট্রেন্ডের এ সময় কিছু পদ্ধতি অনুসরন করলে মেকআপ-সম্পর্কিত ঝামেলা এড়ানো যাবে—
মেকআপ করার আগে অবশ্যই ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। যাঁদের ত্বক শুষ্ক, তাঁরা সকালে মেকআপ করার আগে হালকা কুসুম গরম পানিতে সুতি কাপড় বা ছোট তোয়ালে ভিজিয়ে, সেটা দিয়ে মুখ মুছে পরিষ্কার করতে পারেন। আবার চাইলেই যেকোনো হাইড্রেটিং টোনার ব্যবহার করেও ত্বকের ময়লা দূর করা যাবে। ত্বক তৈলাক্ত বা মিশ্র হলে ক্লিনজার ব্যবহার করবেন।
মেকআপের আগে ত্বক প্রস্তুত করতে হবে। এ জন্য ত্বক পরিষ্কার করে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হয় জেল ময়েশ্চারাইজার। এটি খুব সহজে ত্বকের ভেতর ঢুকে যায়। এর ওপর মেকআপ খুব সুন্দরভাবে বসতে পারে।
যেকোনো মেকআপ দীর্ঘস্থায়ী করতে প্রাইমারের জুড়ি মেলাভার। তাই বেজ মেকআপের আগে একটু প্রাইমার লাগিয়ে নিতে হবে। আবহাওয়ার জন্য এস্থেটিশিয়ানরা ম্যাট প্রাইমার ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন, এরপর ব্যবহার করতে হবে ফাউন্ডেশন। এ ক্ষেত্রে বেছে নিন হালকা ফর্মুলার ম্যাট ও পাউডার ফাউন্ডেশন। নিজের ত্বকের থেকে এক শেড উজ্জ্বল ফাউন্ডেশন লাগাতে হবে। তবে এখন বাজারে নো–মেকআপ লুকের কথা মাথায় রেখেই আরও অনেক মেকআপ পণ্য এসেছে। এর ভেতর আছে টিন্টেড ময়েশ্চারাইজার ও বিবি ক্রিম। যাঁরা মেকআপ করতে খুব একটা পছন্দ করেন না, তাঁরা ফাউন্ডেশনের বদলে চাইলে এটি ব্যবহার করতে পারেন।
ত্বকে হাইপারপিগমেন্টেশন বা দাগছোপ থাকলেই কনসিলার ব্যবহার করুন। ত্বকের যে অংশে দাগ আছে, ওই জায়গা ছাড়া অন্য কোথাও কনসিলার লাগানোর প্রয়োজন নেই।
এ সময়ে অবশ্যই স্মাজপ্রুফ কাজল বা আইলাইনার এবং ওয়াটারপ্রুফ আইশ্যাডো ব্যবহার করুন।
আইশ্যাডোর ক্ষেত্রে ব্লাশঅনের মতো মভ, পিচ, ডাস্টি পিংক শেডের পাশাপাশি হালকা বাদামি শেড বেছে নিতে পারেন। এখন ট্রেন্ডি হলো ডাস্টি ব্লু আইশ্যাডো। সাজে একটু ফাংকি ভাব আনতে চাইলে এই রঙের আইশ্যাডো ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
লিপস্টিকের রং নিজের পছন্দ অনুযায়ী বাছুন। এ সময়ের জন্য সবচেয়ে ভালো ম্যাট লিপস্টিক। এটি গলে যায় না এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়। এর বদলে লিপ টিন্ট বা টিন্টেড লিপবাম ব্যবহার করতে পারেন। লিপস্টিক বা লিপ টিন্ট, যেটাই ব্যবহার করুন না কেন, ঠোঁট আগে ময়েশ্চারাইজ করে নিতে হবে।
ছবি: হাল ফ্যাশন ও পেকজেলসডটকম