কোরিয়ান মেকআপ স্টাইল এত বেশি জনপ্রিয়তা পাওয়ার অন্যতম কারণ লাইট মেকআপেও চেহারা হয়ে ওঠে দৃষ্টিনন্দন। ত্বকে বয়সের ছাপ কমিয়ে আকর্ষণীয় ও পুতুল লুক আনতে কোরিয়ান মেকআপ এখন ট্রেন্ডের শীর্ষে।
কোরিয়ান মেকআপ লুক কী
কোরিয়ান মেকআপে আসে নিখুঁত কমপ্লেকশন, ভেজা লুক ও তারুণ্য। ন্যাচারাল মেকআপেও চেহারার গ্ল্যামার বাড়াতে পারে এই স্টাইল।
ময়েশ্চারাইজার দিয়ে শুরু
কোরিয়ান মেকআপে ত্বকে গ্লোসি ও ভেজা একটা লুক আসে। কিন্তু এই মেকআপ হাইলাইটার বা ফুল কাভারেজ ফাউন্ডেশন দিয়ে করা হয় না। কোরিয়ানদের মতো গ্লাস স্কিন পেতে মেকআপের আগে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার ও ত্বক হাইড্রেট করা জরুরি। সকালে ও রাতে অবশ্যই ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। আর ত্বক হাইড্রেট রাখতে রোজ বা কিউকাম্বার মিস্ট ব্যবহারে প্রথম ধাপ শেষ হবে।
সান কেয়ার
ত্বককে সুরক্ষিত রাখতে সানস্ক্রিন ব্যবহারের বিকল্প নেই। অন্য যে কোন মেকআপ প্রসাধনী ব্যবহারের আগে কোনোভাবেই সানস্ক্রিন ব্যবহারে ভুল করা যাবে না।
বিবি ক্রিম বা কমপ্যাক্ট পাউডার
কোরিয়ান মেকআপ করা যায় খুব কম সময়ে ও সহজে। আর এর জন্য খুব বেশি প্রসাধনীও দরকার হয় না। বিবি ক্রিম খুব লাইটওয়েট হয়। এটি ফাউন্ডেশনের মতো ভারী নয়। ত্বকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বজায় থাকে বিবি ক্রিম ব্যবহারে। যদিও ত্বকে মেকআপ ফিনিশিং পাওয়া যায়।
কনসিলার
ত্বকে নিখুঁত লুক আনতে হলেও কনসিলার ব্যবহার করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ডার্ক সার্কেল, ব্রণের দাগ বা স্কিনের লালচে ভাব কমাতে কনসিলারের ব্যবহার দরকার। চিকবোন ও নাক হাইলাইট করতে চাইলে এখানেও কনসিলার ব্যবহার করা যায়। এক শেড লাইটার কনসিলার হাইলাইটার হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে খুব বেশি দাগ না থাকলে প্রয়োজন বুঝে হালকা ফাউন্ডেশনও একই কাজ করবে।
আই মেকআপ
কোরিয়ান আই মেকআপ হয় খুবই লাইট বা হালকা। বাদামি, গোলাপি বা কোরাল রঙের আইশ্যাডো ব্যবহার কোরিয়ান মেকআপ স্টাইলে খুব পরিচিত। চোখে মোটা করে আইলাইনার বা কাজল দেওয়ার প্রয়োজন নেই। ক্যাটস আই স্টাইলে চিকন করে আইলাইনার টানতে হবে। কালো আইলাইনারে অনেক সময় বোল্ড একটা লুক তৈরি হয়। তাই কোরিয়ান মেকআপ স্টাইলে বাদামি রঙের আইলাইনার ব্যবহার করা হয়। এতে চোখে আসে সফট বা কোমল লুক। আইল্যাস না পড়ে ন্যাচারাল লুক আনতে মাসকারা ব্যবহার করাই ভালো। চোখের নিচের অংশে গোল্ডেন রঙের গ্লিটারি শ্যাডো ব্যবহার করলে আসবে পুতুলের মতো লুক, যা এই মেকআপ স্টাইলের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
ব্লাশন
ব্লাশন হতে হবে এমন, যা ‘ফ্রুট জুস’ লুক দেয়। এর জন্য ফ্রুট কালার ব্লাশনই বেছে নিতে হবে। ওয়াটারমেলন, পিচ, স্ট্রবেরি ফলের রংগুলোর মতো ব্লাশন স্কিনে গ্লো ভাব আনবে। বয়সের ছাপ কমাবে।
ঠোঁটের মেকআপ
ঠোঁটে হাইড্রেট লুক রাখতে দুই লেয়ারে লিপস্টিক ব্যবহার করতে হবে। প্রথমে নুড লিপস্টিক ব্যবহারের পর ওয়াটার কালার লিপগ্লোস দিলে ঠোঁটের রং প্রাকৃতিক মনে হবে কিন্তু দেখাবে আকর্ষণীয়।
সূত্র: ডেইলি ভেনেটি, বার্ডি
ছবি: হাল ফ্যাশন ও পেকজেলসডটকম