সব ধরনের মেকআপ সব জায়গায় মানানসই হয় না। কর্মক্ষেত্র ও অনুষ্ঠানের পরিবেশ যেহেতু আলাদা, তাই মেকআপও হতে হবে একেবারেই আলাদা।
অফিসের মেকআপ হওয়া চাই হালকা; কিন্তু পুরো একটা দিনের জন্য স্থায়ী। সঠিক মেকআপ পণ্য ও মেকআপের প্রতিটি ধাপ সঠিক নিয়মে মানলেই পাওয়া যাবে অফিসবান্ধব মেকআপ।
ক্লিনজার ব্যবহার
ঘুম থেকে জেগেই প্রথম কাজ হতে হবে ত্বক থেকে মরা চামড়া দূর করা। তাই ব্যবহার করতে হবে কার্যকর ক্লিনজার। এ ছাড়া খুব হালকা গরম পানির ঝাঁপটা দিয়েও অনেকটা কাজ হবে।
বিবি ক্রিম অথবা ময়েশ্চারাইজার
বিবি ক্রিম ব্যবহারে একই সঙ্গে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। ময়েশ্চারাইজার, সানস্ক্রিন, ফাউন্ডেশনের গুণ নিয়ে বিবি ক্রিম তৈরি হয়। তবে কেউ যদি শুধু ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার পছন্দ করেন, তবে তা–ও করতে পারেন।
কনসিলার
আপনার ত্বক যদি প্রাকৃতিকভাবে দাগ আর ছোপমুক্ত হয়, তবে এটি আশীর্বাদ থেকে কম কিছু নয়। তবে চোখ, নাক বা ত্বকে থাকা ছোপ কমাতে কনসিলার দারুণ কাজ করে। দাগে সামান্য কনসিলার দিয়ে আঙুল দ্বারা মিশিয়ে নিতে হবে।
কমপ্যাক্ট পাউডার
ত্বকে ব্যবহার করা মেকআপ সেট করতে হালকা কমপ্যাক্ট পাউডার ব্যবহার করতে হবে। কমপ্যাক্ট ত্বকে দেবে নিখুঁত ফিনিশিং।
ব্লাশন
মেকআপ সেট হলে হালকা ব্লাশনে ত্বকে গোলাপি আভা আনতে পারেন। চাইলে বেইজ রঙের ব্লাশনও ব্যবহার করা যাবে। এতে রং গাঢ় দেখাবে না।
চোখের সাজ
চোখে কোনো গাঢ় আইশ্যাডো ব্যবহার করা যাবে না। নুড আইশ্যাডো চোখের ক্রিজে আঙুল দিয়ে মিশিয়ে নিলেই চলবে। আইভুরু না আঁকাই ভালো। তবে ব্রাশ করে আকার ঠিক করে নেওয়া উচিত। কাজল ব্যবহার না করে বরং চোখে চিকন করে আইলাইনার টানলে প্রাতিষ্ঠানিক লুক আসবে। আর পাপড়িতে এক কোট মাসকারা ব্যবহার করতে পারেন।
লিপস্টিক
ঠোঁটে ম্যাট বা গ্লসি দুই ধরনের লিপস্টিকই ব্যবহার করা যাবে। তবে রং হতে হবে একেবারেই নুড।
ময়েশ্চারাইজার
মেকআপের আগে ময়েশ্চারাইজার ত্বককে প্রস্তুত করে। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতেই হবে। এতে ভারী মেকআপ ফেটে যাওয়ার প্রবণতাও কমে।
কারেক্টর
পার্টি মেকআপের জন্য অন্যতম গুরত্বপূর্ণ প্রসাধনী হলো কারেক্টর। তবে সব ত্বকের জন্য সব কারেক্টর সঠিক নয়। ত্বকের রং বুঝে কারেক্টরের রং বাছাই করতে হবে। ব্রণ বা যেকোনো দাগ কমাতে কারেক্টর ব্যবহার করা হয়।
ফাউন্ডেশন
ভারী মেকআপের বেইজ তৈরি করতে ফাউন্ডেশন কোনোভাবেই বাদ দেওয়া যাবে না। টোন অনুসারে ফাউন্ডেশন দীর্ঘস্থায়ী হয়, এমন ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে হবে।
সেটিং পাউডার
সেটিং পাউডার দিয়ে মেকআপ বেক করে নিতে হবে। এতে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কমবে। ফাউন্ডেশন ভালোভাবে ত্বকে বসবে।
কনট্যুর
ভারী মেকআপের আগে কনট্যুর পরে ব্লাশন। ফাউন্ডেশন ব্যবহারে মুখের আকার পরিবর্তন হয়। তাই আকার তীক্ষ্ণ করতে কনট্যুর করা প্রয়োজন। গাল, নাক, চোয়ালসহ প্রয়োজন বুঝে কনট্যুর করতে হবে।
চোখ
পার্টি মেকআপে স্মোকি, কাট ক্রিজ সব ধরনের মেকআপই করা যাবে। আবার চাইলে কাজল ও আইলাইনার দুটিই রাখতে পারেন।
লিপস্টিক
গাঢ় লাল, মেরুন বা ম্যাজেন্টা সব ধরনের ম্যাট বা গ্লসি লিপস্টিক পার্টি মেকআপে মানাসই হবে।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ
ছবি: হাল ফ্যাশন ও ভায়ােলা বাই ফারিহা