র্যাচেল রিগলার নামের এক টিকটকার সবার আগে মেকআপের এই নতুন পদ্ধতি নিয়ে রিল তৈরি করেন। লাতে মেকআপে কালার টোন হিসেবে বাদামি ও নিউড শেডের প্রাধান্য বেশি থাকে। মূলত গ্লাস স্কিন ও ক্লাউড স্কিন মেকআপের বাদামি সংস্করণ এটি। অর্থাৎ এই মেকআপ একেবারে ডিউয়ি বা আর্দ্রও হবে না, আবার একেবারে ম্যাটও হবে না। কয়েক বছর ধরে মেকআপের মিনিমাল ধারা বেশ জনপ্রিয়। কিছুটা ম্যাক্সিমালিস্ট হওয়া সত্ত্বেও নতুনত্ব থাকার কারণে মেকআপপ্রেমী নারী ও পুরুষদের কাছে বেশ গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে লাতে ট্রেন্ড।
লাতে মেকআপের ধাপ তিনটি। এখানের বেজ মেকআপটি র্যাচেল রিগলারের পদ্ধতি মেনে দেওয়া হয়েছে। আর চোখ ও ঠোঁটের মেকআপ কয়েকভাবেই করা যাবে। যে যাঁর মতো বাদামি ও নিউড শেডে চোখ ও ঠোঁট সাজাতে পারবেন। সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি এখানে দেওয়া হলো।
প্রথম ধাপ: এই মেকআপের জন্য সবার আগে আর্দ্র ও উজ্জ্বল ত্বক তৈরি করতে হবে। ত্বক পরিষ্কার করে হাইড্রেটিং ক্রিম বা জেল লাগিয়ে নিতে হবে। চাইলে হাইড্রেটিং মাস্ক বা সিরামও ব্যবহার করা যাবে। এরপর অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপ: প্রাইমার লাগিয়ে নিতে হবে। এটি ভারী বা হালকা—যেকোনো মেকআপকে দীর্ঘস্থায়ী করে।
তৃতীয় ধাপ: এই ধাপে লাইটওয়েট ফর্মুলার ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে হবে। এর বদলে শুধু কনসিলারও ব্যবহার করা যাবে। ত্বকের দাগছোপ ঠিকমতো ঢেকেছে কি না, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ফাউন্ডেশন বা কনসিলার ছাড়াও এই ধাপে টিন্টেড ময়েশ্চারাইজার বা বিবি ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।
চতুর্থ ধাপ: এবার কন্ট্যুর স্টিক দিয়ে হেয়ারলাইন বা কপালের একেবারে ওপরে, চিকবোন বা গালের হাড়ে এবং চোয়ালে দাগ কাটতে হবে। এরপর তা স্পঞ্জের সাহায্যে খুব ভালোভাবে ব্লেন্ড করতে হবে।
পঞ্চম ধাপ: তৃতীয় ধাপে যদি কনসিলার ব্যবহার করা না হয়, তাহলে এই ধাপে এটা লাগিয়ে নিন। ত্বকের প্রকৃত রং থেকে এক বা দুই শেড হালকা কনসিলার ব্যবহার করা উচিত। এটি চোখের নিচের ইনার ও আউটার কর্নার, নাকের আশপাশে, থুঁতনি ও কপালে লাগিয়ে নিতে হবে। হালকা ভেজা স্পঞ্জ দিয়ে ব্লেন্ড করতে হবে। একদম শেষে ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার দিয়ে কনসিলার সেট করতে হবে।
ষষ্ঠ ধাপ: এবার ব্রোঞ্জারের পালা। এখানে ব্লাশঅনের পরিবর্তে এটি লাগাতে হবে। ত্বকের যে স্থানে স্বাভাবিকভাবে সূর্যের আলো এসে পড়ে যেমন গালের হাড়, কপাল, গলার নিচের অংশ, নাকের মাঝের অংশ হাইলাইট করতে ব্রোঞ্জার ব্যবহার করুন।
প্রথম ধাপ: প্রথমে কুল-টোনড গাঢ় বাদামি লিকুইড আইশ্যাডো দিয়ে বেজ তৈরি করতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপ: লিকুইড আইশ্যাডোর ওপর ওয়ার্ম-টোনড হালকা বাদামি পাউডার আইশ্যাডো দিয়ে ব্লেন্ড করতে হবে।
তৃতীয় ধাপ: পার্টি মেকআপ হলে চোখের কোনায় বা ওপরে চাইলে শিমারি বা গ্লিটার শ্যাডো লাগাতে পারেন।
চতুর্থ ধাপ: বাদামি রঙের কাজল দিয়ে চোখের ওপরে ও নিচে আঁকতে হবে। এরপর আইশ্যাডো স্টিক দিয়ে স্মাজ করে স্মোকি এফেক্ট আনতে হবে।
পঞ্চম ধাপ: একদম শেষে চোখের পাপড়িতে হালকা মাসকারা লাগাতে হবে।
মনোক্রোমাটিক লাতে লিপের জন্য নিউড লিপস্টিক ব্যবহার করতে হবে। লিপস্টিকের বদলে নিউড লিপ লাইনারও ব্যবহার করা যাবে। তার ওপর শিমারি লিপগ্লস লাগালেই কমপ্লিট লাতে মেকআপ।
ছবি: ইন্সটাগ্রাম