ফ্রিজে রাখলে ভালো এই প্রসাধনীগুলো
শেয়ার করুন
ফলো করুন

প্রসাধনী শুধু শখের বশে ব্যবহারের জিনিস নয়; বরং নিয়মিত ত্বককে সুস্থ, সুন্দর, প্রাণবন্ত রাখতে প্রসাধনীর ব্যবহার আবশ্যক। কোনো কিছু যেমন যত্ন ও নিয়ম মেনে সংরক্ষণ করলে দীর্ঘদিন ভালো থাকে, তেমনি প্রসাধনীও নিয়ম মেনে সঠিক উপায়ে সংরক্ষণ করলে ভালো থাকে। পাশাপাশি বজায় থাকে এগুলোর কার্যকারিতা। আর এই প্রসাধনসামগ্রী সংরক্ষণের সবচেয়ে ভালো জায়গা হলো ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর।

১. লিপস্টিক: সাধারণত রুমের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় লিপস্টিক রাখলে নষ্ট হওয়ার তেমন আশঙ্কা থাকে না। তবে আবহাওয়া অতিরিক্ত গরম হয়ে গেলে তখন লিপস্টিক গলে যেতে পারে। এমনকি এর রংও বদলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখলে লিপস্টিকে থাকা প্রাকৃতিক তেল ও অন্যান্য উপাদান যেমন ভালো থাকবে, তেমনি এর রংও বদলানোর ঝুঁকি থাকবে না।

২. ক্রিম: ত্বকের যত্নে এখন নানা ধরনের ক্রিম ব্যবহার করেন সৌন্দর্যসচেতন মানুষেরা। ডে ক্রিম, নাইট ক্রিম, আই ক্রিম, সানস্ক্রিনসহ নানা ধরনের ক্রিম আছে। অতিরিক্ত গরম বা কখনো কখনো রুমের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এগুলো রাখলে এতে থাকা সক্রিয় উপাদানগুলো খুব দ্রুত ভাঙতে শুরু করে। ফলে মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখের অনেক আগেই ক্রিমগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে বা কার্যকারিতা হারাতে পারে। এ ছাড়া সব সময় ফ্রিজ থেকে বের করে এই ক্রিমগুলো ব্যবহার করলে ত্বকে ঠান্ডা ও প্রশান্তিদায়ক অনুভূতি পাবেন। এই ক্রিমগুলোর পাশাপাশি প্রাইমার, ফাউন্ডেশনও ফ্রিজে রাখতে পারেন।

বিজ্ঞাপন

৩. লিকুইড প্রসাধনী: লিকুইড প্রসাধনীর মধ্যে টোনার, সিরাম, ফেস মিস্ট, সেটিং স্প্রে, মাসকারা, আইলাইনার এগুলো এখন খুব ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যেকোনো টোনার ফ্রিজে রেখে ব্যবহার করলে ত্বকে আরাম অনুভূত হবে, ফোলা ভাব দূর হবে। ঠান্ডা টোনার ত্বকের লালচে ভাব কমাতেও সাহায্য করতে পারে।

মাসকারা, আইলাইনার কিছুদিন ব্যবহারের পর দেখা যায় চোখের পাপড়ি বা পাতা থেকে কিছুটা উঠে আসে বা গুঁড়া হয়ে উঠে যায়। ফ্রিজে রাখলে এই সমস্যা এড়াতে পারবেন। এ ছাড়া ফ্রিজে রাখলে মাসকারা, আইলাইনারের আগা শক্ত হয়ে যাবে। ফলে এগুলো ব্যবহারও সহজ হয়ে যায়। অর্থাৎ চোখের পাতা বা পাপড়িতে যেকোনো কিছু সহজে আঁকা যাবে। ফ্রিজে রাখার ফলে ফর্মুলাগুলো ঠিকঠাক থাকায় আইলাইনার, মাসকারা ছড়িয়ে পড়বে না, লেপটে যাবে না। আর মাসকারাতে খুব দ্রুত ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হয়। এই সংক্রমণ এড়াতেও মাসকারা ফ্রিজে রাখা ভালো।

সিরাম, বিশেষ করে অ্যান্টি–অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ সিরাম, যেমন ভিটামিন সি, ই সিরাম; রেটিনল ফ্রিজে রাখলে এগুলোয় হলদেটে ভাব ও উটকো গন্ধ হওয়ার আশঙ্কা কমে। ফেস মিস্ট, সেটিং স্প্রে ফ্রিজে রেখে ব্যবহার করলে তফাতটা কিন্তু নিজেই উপলব্ধি করতে পারবেন। ত্বকে যেমন আরাম অনুভূত হবে, তেমনি কাজও ভালো করবে।

বিজ্ঞাপন

৪. নেইল পলিশ: সূর্যের আলো ও অতিরিক্ত গরমের কারণে নেইল পলিশের ফর্মুলা ঘন হয়ে যেতে পারে এবং রংও পরিবর্তিত হতে পারে। তাই ফ্রিজে নেইল পলিশ রাখতে পারেন। এতে নেইল পলিশের ফর্মুলা ও রং অপরিবর্তিত থাকবে।

৫. অ্যালোভেরা জেল: বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রোদে পোড়া ত্বকের সমাধানের জন্য ত্বকে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করা হয়। রোদে পোড়া ত্বকের সঙ্গে জ্বালাপোড়া, চুলকানি, ফুসকুড়ি এ–জাতীয় সমস্যাগুলোও দেখা যায়। তাই অ্যালোভেরা জেল ফ্রিজে রেখে তা এ ধরনের ত্বকের ওপর ব্যবহার করলে ত্বকের চুলকানি, জ্বালাপোড়া, লালচে ভাবে আরাম পাওয়া যায় এবং অপেক্ষাকৃত দ্রুত কাজ করে।

৬. প্রাকৃতিক প্রসাধনী: আজকাল বাজারে ও অনলাইনে অনেক অর্গানিক ও ন্যাচারাল বিউটি প্রোডাক্টস পাওয়া যাচ্ছে। এগুলোয় অন্যান্য বিউটি প্রোডাক্টের মতো প্রিজারভেটিভ, প্যারাবেন, সালফেট ইত্যাদি ব্যবহার করা হয় না। এই পণ্যগুলোকে দীর্ঘদিন ভালো রাখতে ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ রোধ করতে অবশ্যই ফ্রিজে রাখুন।

ছবি: পেকজেলসডটকম

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮: ০৫
বিজ্ঞাপন