হালের আন্তর্জাতিক ট্রেন্ডে এগিয়ে আছে মিনিমাল মেকআপ ও ফ্রেশ স্কিন মেকআপ। রূপবিশেষজ্ঞদের মতে, এ রকম গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ায় এই দুই ট্রেন্ড অনুসরণ করাই ভালো।
গরমে মেকআপ এমন হওয়া উচিত, যাতে ত্বকে অস্বস্তি না লাগে। এ জন্য এড়িয়ে চলতে হবে ভারী মেকআপ। কয়েক বছর ধরে বিউটি ট্রেন্ড মাতাচ্ছে মিনিমাল মেকআপের ধারা। নানা রূপে নানা ঢঙে হয়েছে এই ধারার বিবর্তন। যাঁরা মেকআপ করতে পছন্দ করেন, এই গরমের সময় তাঁরা সাজের জন্য মিনিমাল মেকআপ বেছে নিতে পারেন। এতে খুব বেশি প্রসাধনীর প্রয়োজন হয় না।
১. শুরুটা হবে ময়েশ্চারাইজার দিয়ে। যেকোনো আবহাওয়ায় ত্বকের সুস্থতায় ত্বক আর্দ্র রাখার বিকল্প নেই। ময়েশ্চারাইজারের পর প্রাইমার ব্যবহার করতে হবে। এতে মেকআপ দীর্ঘস্থায়ী হবে। রূপবিশেষজ্ঞদের মতে, শুষ্ক ত্বকে ময়েশ্চারাইজারযুক্ত আর মিশ্র ও তৈলাক্ত ত্বকের জন্য তেলমুক্ত প্রাইমার ব্যবহার করা উচিত।
২. এরপর ত্বকের টোন বুঝে একদম হালকা ফর্মুলার ম্যাট ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে হবে। এসব ফাউন্ডেশনের ফর্মুলায় তেলজাতীয় উপাদান কম থাকে। তাই মেকআপ ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
৩. এবার আসা যাক কনসিলারের কথায়। কেবল ত্বকে দাগছোপ থাকলেই এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে নিজের ত্বকের টোনের চেয়ে এক বা দুই শেড হালকা কনসিলার বেছে নেওয়াই ভালো। আর যদি দাগছোপের সমস্যা না থাকে, তাহলে কনসিলার দরকার নেই।
৪. সাধারণত ফাউন্ডেশন ও কনসিলারের পর ব্লাশঅন লাগাতে হয়। তবে আন্তর্জাতিক বিউটি ট্রেন্ডে এখন ব্লাশঅন প্রয়োগের নতুন পদ্ধতি ‘আন্ডারপেইন্টিং’-এর জনপ্রিয়তা অনেক। এখানে আগে ব্লাশঅন লাগিয়ে তার ওপর ফাউন্ডেশন লাগাতে হয়। গ্রীষ্মের হালকা মেকআপের জন্য আন্ডারপেইন্টিং অত্যন্ত কার্যকর একটি পদ্ধতি।
৫. বেজ মেকআপের পর নজর দেওয়া যাক চোখ ও ঠোঁটে। ত্বকের বেজ মিনিমাল হলেও চোখ ও ঠোঁটের সাজে বৈচিত্র্য আনা যেতেই পারে। যেমন পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে বা কনট্রাস্ট করে চোখে আইশ্যাডো ও ঠোঁটে ম্যাট লিপস্টিক লাগানো যায়। চোখের সাজ যদি ভারী হয়, তাহলে ঠোঁটের সাজ হালকা রাখলে চেহারায় স্নিগ্ধভাব আসে। আবার এর উল্টোটাও হতে পারে।
গরমে অতিষ্ঠ হয়ে যাঁরা মিনিমালের চেয়েও কম মেকআপ করতে চান, তাঁদের জন্য আছে ফ্রেশ স্কিন মেকআপ। গরমে ত্বকে সতেজ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে এই মেকআপ পদ্ধতি হতে পারে আদর্শ।
১. এখানে ফাউন্ডেশনের বদলে ব্যবহার করতে পারেন টিন্টেড ময়েশ্চারাইজার, সানস্ক্রিন অথবা বিবি ক্রিম। এর ওপর চাইলে কনসিলার ব্যবহার করা যেতেও পারে আবার না-ও পারে প্রয়োজন বুঝে।
২. বেজ মেকআপের সমাপ্তি হবে ব্লাশঅনের আলতো ছোঁয়ায়। চোখের সাজ শুধু কাজল আর মাসকারাতে সীমাবদ্ধ রাখতে পারলে ভালো। নাহলে হালকা মভ বা পিচ রঙের আইশ্যাডো ব্যবহার করলে মন্দ লাগবে না। ঠোঁটের সাজের জন্য চিরাচরিত লিপস্টিক তো আছেই, ইচ্ছা হলে লিপ স্টেইন বা টিন্টও লাগানো যেতে পারে।
সূত্র: কসমোপলিটন, টিন ভোগ
ছবি: পেকজেলসডটকম