ব্লাশন ব্যবহারের শুরুতেই জানতে হবে মুখের আকার সম্পর্কে। কারণ, আকারের ওপরই নির্ভর করবে কী পরিমাণ ব্লাশন ব্যবহার করতে হবে।
গোল মুখে ব্লাশন
গোল মুখ ব্লাশন ব্যবহারের জন্য একেবারেই যথাযথ। গোল মুখে মূলত কপাল, চিক ও জো লাইনে সমান পরিমাণ জায়গা থাকে। তাই মুখ গোল হলে কনটুর ও হাইলাইটার ব্যবহারের লাইনেই ব্লাশন ব্যবহার করতে হবে। এতেই চেহারায় পাওয়া যাবে ব্লাশনের গোলাপি আভা। তবে গোল মুখ হলে ঠিক গালের মাঝ থেকে ব্লাশন দেওয়া শুরু করতে হবে। এই জায়গাকে বলে ‘আপেল অব চিক’। এখান থেকে শুরু করে গালের পেছন পর্যন্ত হালকা করে ব্লেন্ড করতে হবে। আর সবার শেষে চিনে কিছুটা ব্লাশন ব্যবহারে চিন আকারে কিছুটা বড় মনে হবে।
হৃদয় আকার
হৃদয় আকারের মুখ হলে কপাল ও চিকবোনের দিকটা কিছুটা বড় হয়। তাই ব্লাশন ব্যবহার করতে হবে গালের ঠিক মাঝ থেকে এবং এই লাইনেই কিছুটা ওপরের দিকে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। সঠিক নিয়ম হলো ইংরেজি ‘ইউ’-এর মতো করে ব্লাশন ব্যবহার করা। এই পদ্ধতিতে ব্লাশন ব্যবহার করলে হৃদয় আকারের চেহারায় আসে একটা কোমল লুক।
লম্বা আকার
লম্বা মুখে ব্লাশন ব্যবহার করতে হবে খুব জেনেবুঝে। কারণ, ব্লাশন ব্যবহারের পর লম্বা মুখ যেন কোনোভাবেই আরও লম্বা মনে না হয়। তাই গালের মাঝে কিছুটা চারকোনা আকারের মতো করে ব্লাশন ব্যবহার করাই সঠিক। এতে গালের দিকে আসে কিছু ভিন্নতা।
ওভাল আকার
মুখ ওভাল আকারের হলে ব্লাশন ব্যবহার করতে হবে এমনভাবে, যাতে গালের অংশটি কিছুটা চওড়া দেখায়। কারণ, ওভাল আকার হলে সাধারণত গালের তুলনায় কপালের দিকটা বেশ বড় হয়ে থাকে। তাই দুই অংশের মধ্যে ব্যালেন্স রাখতে কনটুর ও হাইলাইটার লাইন ধরেই ব্লাশন ব্যবহার করতে হয়।
চারকোনা শেপ
মুখের চারকোনা আকারে যেন লম্বাটে ভাব না আসে, তাই ব্লাশন ব্যবহারের আছে আলাদা উপায়। এর জন্য গালের ঠিক মাঝবরাবর কিছুটা গোল করে ব্লাশন ব্যবহার করে নিলেই হবে। এতে প্রাকৃতিকভাবেই চেহারায় আসবে গোল একটা ভাব।
ডায়মন্ড আকার
ডায়মন্ড আকারের মুখে ব্লাশন ব্যবহারের নিয়ম হলো টপ চিকবোনে ব্যবহার। চেহারায় গ্লোয়িং লুক আনতে ব্লাশনের সঙ্গে কিছুটা হাইলাইটারও ব্লেন্ড করে নেওয়া যাবে। এতে ব্লাশনের দেওয়ার জায়গাটি আরও উজ্জ্বল হবে।
ত্রিভুজ আকার
ত্রিভুজ আকারের মুখে চিকবোন হাইলাইট করতে হবে। এর জন্য চিকের ঠিক মাঝ থেকে ব্লাশন দেওয়া শুরু করে পেছনের দিকে ব্লেন্ড করতে হবে।
ছবি: সাইফুল ইসলাম