গরমে মাথার ত্বক পরিষ্কার থাকবে আবার পাওয়া যাবে ঠান্ডা অনুভূতি। তাই দরকার সুদিং হেয়ার মাস্কের সমাধান। আর বাড়তি পাওনা হবে ঝরঝরে চুল।
নারকেলের মাস্ক
গরমে একটু ঠান্ডার আরাম পেতে নারকেলই ভরসা। নারকেলের পানি ও ভেতরের সাদা অংশ দুটিতেই প্রাকৃতিকভাবে ঠান্ডা অনুভূতি দেয়। মাথার ত্বকের জন্যও উপকারী এটি। ত্বক ঠান্ডা রাখতে শুধু নারকেলের সাদা অংশ পেস্ট করে মাথার ত্বকে ব্যবহার করা যায়। শ্যাম্পু করতে হবে ৪০ মিনিট পর। এতে ঠান্ডা অনুভূতি পাওয়া যাবে। নারকেলের পানি আর ডিমের সাদা অংশ একসঙ্গে মিশিয়ে মাথায় ও চুলে ব্যবহার করলে তা চুল রাখবে নরম আর ঝলমলে।
পুদিনার মাস্ক
পুদিনা পাতার সুদিং উপকরণ মাথার ত্বককে রাখবে ঠান্ডা। শুধু এর সঙ্গে মেশাতে হবে পাকা কলা আর পরিমাণমতো মধু। সব উপাদান ভালোভাবে পেস্ট করে স্ক্যাল্পে ব্যবহারের পর ৩০ থেকে ৪০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করতে হবে। পুদিনা পাতায় থাকে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, যা চুলে মাথার ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। গরমে মাথা ঠান্ডা রাখতে কার্যকর পুদিনার মাস্ক।
আমলকির মাস্ক
আমলকিতে আছে ভরপুর ভিটামিন সি, যা চুল পড়া কমায়। এ ছাড়া গরমে বেড়ে যাওয়া খুশকি কমাতেও দারুণ আমলকি। আমলকিতে পানির পরিমাণ প্রচুর, তাই মাথার ত্বকে ব্যবহারে কমে রুক্ষতা আর বাড়ে আর্দ্রতা। এ ছাড়া প্রাকৃতিকভাবেই স্ক্যাল্প ঠান্ডা রাখতে চাইলে আমলকির বিকল্প নেই। চুল বুঝে কয়েকটি আমলকি পানিতে সেদ্ধ করে নিতে হবে। এবার ব্লেন্ডারে পেস্ট করে নিতে হবে। মিশ্রণে প্রয়োজনমতো টকদই মিশিয়ে মাথার ত্বকে ব্যবহারের ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে নিতে হবে।
গ্রিন টি মাস্ক
গ্রিন টি শরীরের জন্য উপকারী, তা অজানা নয়। কিন্তু গ্রিন টি চুলের জন্যও সমানভাবে উপকারী। এর প্রধান কারণ গ্রিন টির অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট। গ্রিন টি মাথার ত্বকে ব্যবহারেও মাথার ত্বক থাকবে শীতল। গ্রিন টিতেও পানি থাকে বেশি, তাই স্কিন হাইড্রেট করার কাজটিও ভালোভাবেই হয়ে যাবে। ১ টেবিল চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে ১টি ডিম ও ১ টেবিল চামচ গ্রিন টি গুঁড়া মিশিয়ে মাথার ত্বকের জন্য মাস্ক তৈরি করে নিতে হবে। মাস্কটি মাথায় রেখে ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এতে মাথার ত্বক থাকবে ঠান্ডা, আসবে সতেজতা।
ছবি: হাল ফ্যাশন ও পেকজেলসডটকম