যে ৫ প্রাকৃতিক উপায়ে পেতে পারেন ঝলমলে মসৃণ চুল
শেয়ার করুন
ফলো করুন

সুন্দর মসৃণ চুল কে না পেতে চায়! বলা হয়, মেয়েদের সৌন্দর্য লুকিয়ে থাকে চুলে। তবে মেয়ে হোক বা ছেলে, রুক্ষ শুষ্ক চুল কারোই পছন্দ নয়। তাই নিষ্প্রাণ চুল নিয়ে চিন্তারও শেষ নেই। কিছু ঘরোয়া টোটকা মেনেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন খুব সহজেই।

যার জন্য আপনাকে পারলার কিংবা স্যালনের ঝক্কিও পোহাতে হবে না। এমন বেশ কিছু প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে, যেগুলোর সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে চুল হবে ঝলমলে ও মসৃণ। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে খুব সহজেই ঘরে বসেই পেতে পারেন ঝলমলে মসৃণ চুল।

অ্যালোভেরা

চুলের যত্নে অ্যালোভেরার কোনো জুড়ি নেই। অ্যালোভেরাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এনজাইম, অ্যামিনো অ্যাসিড ও ভিটামিন, যা চুলকে করে তোলে ভেতর থেকে মজবুত। এর জন্য আপনার অতিরিক্ত কোনো কিছুই করতে হবে না। একটি অ্যালোভেরার পাতা থেকে এর জেল বের করে পানির সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর এটিকে একটি স্প্রে-বোতলে ভরে চুলে সুন্দরভাবে স্প্রে করে নিন। তবে এই স্প্রে ব্যবহারের সময় চুল ধোয়া এবং শুকনা থাকলে আরও ভালো ফলাফল পেতে পারেন। এ ছাড়া সব সময় খেয়াল রাখবেন, অ্যালোভেরা কাটার সময় একধরনের হলুদ জাতীয় পদার্থ বের হয়। এটি ত্বক এবং চুলের জন্য মোটেও ভালো নয়।

বিজ্ঞাপন

তেল

চুলকে সুন্দর রাখতে হলে গুরুত্ব দিতে হবে চুলের স্বাস্থ্যের দিকে। আর চুলের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে তেলের কোনো বিকল্প নেই । চুলের যত্নে বেছে নিতে পারেন নারকেল তেল। নারকেল তেল দিয়ে হেয়ার ম্যাসাজ আপনার চুলের ফলিকলগুলোকে উদ্দীপিত করবে। যা শুধু আপনার চুলকে মসৃণ নয়, বরং চুলের বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে। এ ছাড়া ব্যবহার করতে পারেন অলিভ অয়েল। অলিভ অয়েলে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন ই, যা রুক্ষ চুলের প্রাণ ফিরিয়ে এনে চুলকে করতে পারে সুন্দর ও মসৃণ। ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে কমপক্ষে দুবার চুলে তেল দেওয়ার চেষ্টা করুন।

দই ও আমলকী পাউডার

দই ও আমলকী পাউডার মিশিয়ে একটি মাস্ক তৈরি করে নিতে পারেন। এটি চুলের জন্য খুবই উপকারী। দইয়ে রয়েছে ভিটামিন বি৫ ও ডি, যা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। দই চুলের পিএইচের ভারসাম্য বজায় রাখতেও কাজ করে। এটি খুশকির মতো সমস্যাগুলোর বিরুদ্ধেও লড়াই করে। সেই সঙ্গে এটি চুলকে ভেতর থেকে মজবুত করতে সহায়তা করে। এই মাস্কের আমলকী স্ক্যাল্পে ভিটামিন সি-এর ঘাটতি পূরণ করে চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে।

বিজ্ঞাপন

ডিম

ডিম চুলের পরিচর্যার জন্য সবচেয়ে সহজলভ্য একটি উপাদান। এটি প্রায় সবার বাড়িতেই থাকে। আর ডিম প্রোটিনের সবচেয়ে ভালো একটি উৎস। চুলের জন্য প্রোটিন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। একটি ডিমের সঙ্গে এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এরপর এটি ভালোভাবে আপনার চুলে প্রয়োগ করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন এবং ভালোভাবে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। সব থেকে ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে দুবার এটি ব্যবহার করতে পারেন।

মেথি

মেথিতে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন, আয়রন, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম এবং লেসিথিন। এসব উপাদান চুল ঘন, মসৃণ ও মজবুত করার পাশাপাশি চুলকে ধূসর হওয়া থেকে রক্ষা করে। এক থেকে চার কাপ মেথি সারা রাত ভিজিয়ে রেখে সকালে পেস্ট বানিয়ে নিন। এরপর পেস্টটি ১০ থেকে ১৫ মিনিট চুলে রেখে ভালোভাবে শ্যাম্পু করে নিন।

তবে সব সময় খেয়াল রাখবেন, চুলের বাইরে থেকে যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি ভেতর থেকেও যত্ন নেওয়া জরুরি। তাই চুলের অভ্যন্তরীণ পুষ্টির দিকে খেয়াল রাখতে প্রোটিন এবং ভিটামিনসমৃদ্ধ খাবার খান। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে মোটেও ভুলবেন না।

ছবি: পেকজেলসডটকম ও ইন্সটাগ্রাম

হিরো ইমেজ: বিদ্যা সিনহা মিমের ইন্সটাগ্রাম হ্যান্ডল

প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২৩, ১৪: ০০
বিজ্ঞাপন