শীতে ত্বকের যত্নে বিশেষ উপকারী এই তিনটি তেল
শেয়ার করুন
ফলো করুন

সৌন্দর্যচর্চার প্রসাধনীগুলো ত্বকভেদে আলাদা। ত্বকের ধরন বুঝে এগুলো ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু তেল সাধারণের ত্বকের জন্যই উপকারী। ত্বকের যত্নে যে তেলগুলো নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশি চর্চা হচ্ছে সেগুলো হলো নারকেল তেল, অলিভ অয়েল ও মারুলা অয়েল। এর মধ্যে মারুলা অয়েল বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয় মুখের ত্বকের যত্ন। যা সব ত্বকের জন্য মানানসই। এমনকি বলা হয় ত্বকের সব সমস্যার সমাধানও বটে।

নারকেল তেল

প্রতিদিন গোসলের আগে নারকেল তেল সামান্য গরম করে হাতে-পায়ে মালিশ করলে ত্বক কোমল হয়। এমনকি শুষ্ক মৌসুমে নারকেলের তেলের সঙ্গে গ্লিসারিন, সামান্য গোলাপজল ও পছন্দমতো এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে বডি লোশন তৈরি করে নেওয়া যেতে পারে। প্রতিদিনের ব্যবহারে ত্বকের শুষ্কতা দূর হবে। বডি স্ক্রাবার হিসেবেও নারকেল তেল বেশ কার্যকর। এই স্ক্রাব ত্বকের মৃত কোষ দূর করে, ডার্ক প্যাচও হালকা হবে। ঠোঁট এবং চোখের যত্নেও নারকেল তেল অতুলনীয়।

বিজ্ঞাপন

অলিভ অয়েল

নারকেল তেলের ব্যবহার যেমন গোসলের আগে, অলিভ ওয়েলের ব্যবহার তার ঠিক উল্টো। গোসলের পর ভিজে ত্বকে অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে ত্বক সহজেই তেল শুষে নেবে ও ত্বক পুষ্টি পায়। তবে অনেক বিশেষজ্ঞ বলেন প্রতিদিন গোসলের আগে ও পরে যে কোন এক ধরনের তেল ব্যবহার করা ভালো। শুষ্ক মৌসুমে মুখ ধোয়ার পর অনেকর মুখের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায়। তারা এসময় সামান্য অলিভ অয়েল মুখে-গলায় লাগিয়ে নিলে ত্বক কোমল ও মসৃণ হবে। অলিভ অয়েল দিয়ে ঠোঁট স্ক্রাব করলে শীতে সহজে ঠোঁট ফাটে না।

মারুলা অয়েল

মারুলা তেল ত্বকের পুষ্টির জন্য একটি শক্তিশালী উৎস। এতে রয়েছে ত্বকের জন্য উপকারী অ্যামিনো অ্যাসিড, ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন, ভিটামিন সি ও ই আর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটি উচ্চমানের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল অয়েল। তাই সহজে করতে পারে ব্রণের বংশ নির্বংশ। সরাতে পারে ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস। পাশপাশি সারাতে পারে একজিমা ও সোরিয়াসিসের মতো মারাত্মক চর্মরোগ। মারুলা অয়েলকে বলা হয় এলিক্সার অব ইয়থ। অর্থাৎ যৌবনের অমৃত।

কারণ, ত্বকের বয়সের লাগাম টানা যেন এর বাঁ হাতের খেল! কাজটি করতে সাহায্য করে এর ভেতরে থাকা এল আরজিনিন আর গ্লুটামিক অ্যাসিডের মতো অ্যামিনো অ্যাসিড। এরা হাইড্রেটিং করে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রেখে ত্বক থেকে বয়সের ছাপ দূর করে। অন্যদিকে এর ভেতর বিদ্যমান ফ্যাটি অ্যাসিড যেমন ওমেগা ৬, ওমেগা ৯, পালমিটিক, স্টেয়ারিক, ওলিইক ও মিরিস্টিক অ্যাসিড ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে। এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যেমন ফেনলিক যৌগ আর ভিটামিন সি ও ই ফ্রি র‍্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করে রিঙ্কেল আর ফাইন লাইন কমায়, কমায় হাইপারপিগমেন্টেশন। এ ছাড়া সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ও নানা ধরনের দূষণের ফলে হওয়া ড্যামেজ থেকে ত্বককে রক্ষা করে। ভিটামিন সি ও ই ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

ছবি: হাল ফ্যাশন, ইনস্টাগ্রাম ও পেকজেলসডটকম

বিজ্ঞাপন
প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮: ৫৫
বিজ্ঞাপন