ত্বকের যত্নে ঘরোয়া টোনার
শেয়ার করুন
ফলো করুন

যাঁরা ত্বকের যত্নের রুটিনে টোনার যুক্ত করতে চাইছেন, তাঁরা ত্বকের ধরন বুঝে টোনার বেছে নিতে পারেন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য গ্লাইকোলিক, স্যালিসাইলিক অ্যাসিডযুক্ত টোনার ভালো। এই উপাদানগুলো ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে আর রোমকূপ সংকুচিত করতে চাইলে নায়াসিনামাইডযুক্ত টোনার ব্যবহার করা যায়।

শুষ্ক ত্বকের জন্য অবশ্যই হায়ালুরনিক অ্যাসিড, ভিটামিন ই ও গ্লিসারিনযুক্ত টোনার বেছে নিতে হবে। এ উপাদানগুলো ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে।

মিশ্র ত্বকের জন্য হায়ালুরনিক, স্যালিসাইলিক বা ল্যাকটিক অ্যাসিডসমৃদ্ধ টোনার এবং ব্রণপ্রবণ ত্বকের জন্য গ্লাইকোলিক অ্যাসিডযুক্ত টোনার সবচেয়ে ভালো। আর রোদে পোড়া ও সদ্য বলিরেখা পড়া ত্বকে ভিটামিন ই, সি, হায়ালুরনিক ও গ্লাইকোলিক অ্যাসিডযুক্ত টোনার ব্যবহার করা উচিত।

বিজ্ঞাপন

ঘরোয়া টোনার

চাইলেই ঘরে বানানো যায় টোনার। এ জন্য খুব বেশি কিছু প্রয়োজন হয় না। হাতের কাছে পাওয়া যায়, এমন কিছু উপাদান দিয়ে সহজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন আপনার ত্বকের উপযোগী টোনার।

গ্রিন টি
গ্রিন টিতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি–ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান। এটি ফ্রি র‍্যাডিকেল প্রতিরোধ করে। গ্রিন টি টোনার বানানোর জন্য লাগবে সোয়া কাপ গ্রিন টি ও তিন-চার ফোঁটা টি ট্রি এসেনশিয়াল অয়েল। দুটি উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে তুলার প্যাড বা মিস্ট বোতলের সাহায্যে মুখে লাগাতে পারেন।

গ্রিন টি ও বেদানা
এই ‘পাওয়ার কম্বো’ দিয়ে বানানো অ্যান্টি–এজিং টোনার ত্বকে সূর্যের কারণে হওয়া ক্ষতি কমাতে পারে। এ ছাড়া চোখের নিচের ভাঁজ, ইনফ্ল্যামেশন, ত্বকের লালচে ভাব কমানোর পাশাপাশি ত্বককে তারুণ্যোজ্জ্বল করে তোলে। আধা কাপ গ্রিন টি ও আধা কাপ বেদানার রস একসঙ্গে মেশালেই তৈরি হয় এ টোনার।

অ্যাপল সিডার ভিনেগার
আধা কাপ অ্যাপল সিডার ভিনেগার, আধা কাপ পানি ও এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে তৈরি করা যায় এই সহজ টোনার। তৈলাক্ত ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করা ও পিএইচ ব্যালান্স ঠিক রাখতে এ এসিভি টোনার ব্যবহার করতে পারেন।

বিজ্ঞাপন

গোলাপজল
ত্বকের আর্দ্রতা বাড়াতে ও ক্লিনজিংয়ের পর পিএইচ ব্যালান্স ঠিক করতে গোলাপজল বেশ কার্যকর। এক কাপ গোলাপজলের সঙ্গে চার চা–চামচ লেবুর রস মিশিয়ে তৈরি করতে পারেন গোলাপজলের টোনার। তবে ত্বক শুষ্ক হলে লেবুর রস এড়িয়ে শুধু গোলাপজল লাগালেই চলবে।

অ্যালোভেরা
ত্বকের আর্দ্রতা বাড়িয়ে এর তারুণ্য ধরে রাখতে অ্যালোভেরার জুড়ি মেলা ভার। আর এ অ্যালোভেরার টোনার বানাতে প্রয়োজন কেবল আধা কাপ অ্যালোভেরা জেল ও আধা কাপ গোলাপজল। ত্বক বেশি শুষ্ক হলে এর সঙ্গে মেশাতে পারেন আধা কাপ শসার রস। স্পর্শকাতর ত্বক ছাড়া সব ত্বকেই এ টোনার ব্যবহার করা যাবে।

চাল ধোয়া পানি
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে চাল ধোয়া পানির টোনার লাগাতে পারেন। এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ পানি ও তিন টেবিল চামচ চাল ধোয়া পানি মেশালেই তৈরি হয় এই টোনার।

বাড়তি উপকারের জন্য টোনারে ভিটামিন ই ক্যাপসুল যুক্ত করতে পারেন। টোনার ব্যবহারের সময় কিছু দিকে নজর দেওয়া জরুরি। ত্বকে পানি লাগানোর পর টোনার লাগাতে হবে। টোনার লাগানোর জন্য তুলার প্যাড বা মিস্ট বোতল ব্যবহার করুন। অনেকে টোনার লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলেন। এটি খুব বড় একটি ভুল। এমনটি করলে যে উদ্দেশ্যে টোনার লাগানো হয়, তার কিছুই পূরণ হয় না। টোনার লাগিয়ে পাঁচ থেকে সাত মিনিট অপেক্ষা করে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে।

ছবি: হাদী উদ্দীন ও পেকজেলসডটকম

তথ্যসূত্র: হেলথলাইন, হ্যালো গ্লো, ফেমিনা, বার্ডি, ডার্ম কালেকটিভ

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৩, ১০: ৩০
বিজ্ঞাপন