শুষ্ক আবহাওয়ায়ও প্রাণবন্ত চুল পেতে নিতে হবে বিশেষ যত্ন
শেয়ার করুন
ফলো করুন

হেমন্ত আসা মানেই শীত শীত আমেজ। প্রকৃতিজুড়ে চলে শীতকে বরণ করে নেওয়ার প্রস্তুতি। এ সময় আবহাওয়া ধীরে ধীরে শুষ্ক হতে শুরু করে। এর প্রভাব পড়ে আমাদের চুলেও। তাই এমন দিনে চুলের দরকার বাড়তি যত্ন। চলুন, জেনে নিই এ সময়ে চুলের যত্ন নেবেন কীভাবে—

১. চুলকে রাখুন ময়েশ্চারাইজড
শুষ্ক বাতাস চুলকে রুক্ষ ও প্রাণহীন করে তোলে। এ সময় এমন শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন, যাতে রয়েছে ময়েশ্চারাইজার, যাতে চুল হাইড্রেটিং থাকে। যা চুলে আলাদা সুরক্ষা জোগায়। এ সময় করতে পারেন ডিপ কন্ডিশনিং। চুল এতে মসৃণ ও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।

২. উপেক্ষা নয় শুষ্ক চুলকে
এ সময় ঘন ঘন শ্যাম্পু ব্যবহারে চুল হয়ে পরে রুক্ষ। কারণ, এতে চুলের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হয়ে যায়। চুলের প্রাকৃতিক তেল চুলের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য এবং চুলে আনে আলাদা ঔজ্জ্বল্য। চুলের প্রাকৃতিক ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে প্রতিদিন শ্যাম্পু করবেন না। অতিরিক্ত শ্যাম্পু করা থেকে বিরত থাকুন। ক্ষার বা সালফেটমুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার না করে ময়েশ্চারাইজারযুক্ত শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এতে চুল দীর্ঘ সময় ঝরঝরে থাকবে।

বিজ্ঞাপন

৩. তেলের গুণ কাজে লাগান
শীতকালে খুশকি, চুলকানিসহ নানান সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। এর প্রধান কারণ মাথায় ত্বক শুষ্কতা। এ সমস্যার সমাধানে চুলে তেল দেওয়ার মতো ঘরোয়া পদ্ধতিই সবচেয়ে কার্যকর। সপ্তাহে এক থেকে দুই দিন তেল দিন। তেল একটু গরম করে মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন। এতে ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে। চুলের রুক্ষতা দূর করে চুলে আলাদা আর্দ্রতা জোগাতে তেল দারুণভাবে কাজ করে।

৪. তাপ থেকে চুলকে বাঁচান
অনেকে চুলের স্টাইলিংয়ের জন্য চুল স্ট্রেইট, কার্ল, ব্লো ড্রাই ইত্যাদি নানান সরঞ্জাম ব্যবহার করেন। এসব স্টাইলিং সরঞ্জাম মূলত চুলকে গরম করে নানান আকার দিতে সাহায্য করে যা চুলের জন্য ক্ষতিকর। তাই চুলে এসব পণ্যের ব্যবহার কমান। আর ব্যবহারের আগে অবশ্যই সিরাম বা তাপরোধী স্প্রে ব্যবহার করুন।
আবার অনেকে গরম পানিতে গোসল করে থাকেন। গরম পানি চুলকে শুষ্ক করে, চুলের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট করে। এ বদলে চুল ধুয়ে নিন ঠান্ডা বা ঈষদুষ্ণ পানিতে।

বিজ্ঞাপন

৫. চুল ট্রিমিংয়েরও গুরুত্ব রয়েছে
গরমের দিনে চুল আমাদের কাছে একটি বাড়তি যন্ত্রণা মনে হয়। তাই গরমে অনেকেই চুল ছোট করেন বা চুল ছাঁটেন। কিন্তু শীতের সময় চলে এলে কেউ আর চুল ছাঁটা বা কাটার কথা ভাবেন না। কিন্তু এ সময় চুল ট্রিম করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটি চুলকে আগা ফেটে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচায়। চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

৬. ডায়েটেরও রয়েছে ভূমিকা
আমরা যা খাই, পান করি তার প্রভাব পড়ে আমাদের চুলেও। অর্থাৎ আমাদের ডায়েট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আমাদের চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে। এ সময় বেশি পানি পান করুন। সবুজ শাকসবজি, নানান ফল এ সময়ে হতে পারে আপনার চুলের বন্ধু। কারণ, এসব খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণ আমিষ, আঁশজাতীয় পদার্থ ও গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন থাকে, যা চুলকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে তোলে।

তথ্যসূত্র: এল ম্যাগাজিন

ছবি: পেকজেলস ডট কম

প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২৩, ০১: ০০
বিজ্ঞাপন