‘স্পা’ শব্দটা শুনলে মনে হয়, কত ঝক্কির কাজ। আসলে তা নয়। ঘরে মাত্র কয়েকটি ধাপেই এটি করা সম্ভব। তা-ও হাতের কাছে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে।
প্রথম ধাপ: তেল
ভালোভাবে চুল আঁচড়িয়ে তেল লাগাতে হবে। চুলের স্পার জন্য বিশেষ তেলের মিশ্রণ বানিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি বানাতে লাগবে নারকেল তেল, জলপাই তেল, আমন্ড তেল ও ঘি। চাইলে ঘি বাদ দিতে পারেন। চুলে দেওয়ার আগে মিশ্রণটি হালকা গরম করে আঙুল বা তুলার সাহায্যে চুলের গোঁড়ায় লাগিয়ে ম্যাসাজ করতে হবে অন্তত ১০ মিনিট। এভাবে তেল লাগিয়ে রাখতে হবে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট।
দ্বিতীয় ধাপ: স্টিম
কুসুম গরম পানির চেয়ে একটু বেশি গরম পানিতে একটি তোয়ালে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর সেটি মোটামুটি নিংড়ে মাথায় পেঁচিয়ে রাখতে হবে, যতক্ষণ তেল দেওয়া থাকবে; অর্থাৎ ৩০ থেকে ৪০ মিনিট। এতে চুলের গভীরে তেলের মিশ্রণটি ভালোভাবে পৌঁছিয়ে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করবে।
তৃতীয় ধাপ: শ্যাম্পু
শ্যাম্পুর আগে আবার চুল আঁচড়িয়ে নিতে হবে। এরপর হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে চুল সঠিক নিয়মে শ্যাম্পু করতে হবে। বোতল থেকে হাতে ঢেলে সরাসরি মাথায় লাগালে এটি চুলের গোঁড়ায় পৌঁছে স্ক্যাল্প পরিষ্কার করতে পারে না। তাই শ্যাম্পু একটু পানিতে গুলিয়ে মাথায় দেওয়া উচিত। খুশকি, ফুসকুড়ি, চুল পড়ার সমস্যা থেকে থাকলে এর সঙ্গে মেশাতে পারেন টি ট্রি অয়েল।
চতুর্থ ধাপ: কন্ডিশনার
এবার চুলের উপযোগী কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। এতে চুল হবে নরম, সিল্কি। বাজার থেকে কেনা কন্ডিশনার কখনো চুলের গোঁড়ায় লাগানো যাবে না। কিন্তু ঘরে তৈরি কন্ডিশনার লাগানো যাবে। বানানোও খুব সহজ।
আপেল সাইডার কন্ডিশনার: চার চামচ আপেল সাইডার ভিনেগার এক মগ পানির সঙ্গে মেশালে তৈরি এসিভি কন্ডিশনার।
মিন্ট কন্ডিশনার: এটি বানাতে এক মুঠো তাজা পুদিনাপাতা তিন কাপ পানি দিয়ে জ্বাল দিতে হবে।
চায়ের লিকার: এক টেবিল চামচ চা-পাতা এক মগ পানি দিয়ে জ্বাল দিতে হবে।
টক দইয়ের পানি: টক দই ছাঁকার পর যেই পানিটুকু থাকে, সেটিও ভালো কন্ডিশনারের কাজ করে।
শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধোয়ার পর এই কন্ডিশনার ওয়াটারের যেকোনো একটি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।
সব শেষে চুল ভালো করে মুছে ফ্যানের বাতাসে শুকিয়ে নিতে হবে। শুকানোর পর চুলে গোলাপজলের হেয়ার মিস্ট লাগাতে পারেন। এটি চুল আর্দ্র করবে এবং দেবে এক স্নিগ্ধ অনুভূতি।
তথ্যসূত্র: গ্রাজিয়া, হেয়ার এভরিডে, স্টাইলক্রেজ, বি বিউটিফুল
ছবি: হাল ফ্যাশন ও পেকজেলসডটকম