সমুদ্রপাড়ে গেলে ত্বক ও চুলের যত্ন
শেয়ার করুন
ফলো করুন

সমুদ্রের সৌন্দর্য মনে প্রশান্তি আনলেও সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি, লোনাপানি আর বালু—সবই কিন্তু চুল আর ত্বকের শত্রু। তাই সমুদ্রপাড়ে যাওয়া এবং পানিতে নামার আগের ও পরের যত্নে কমতি রাখা যাবে না।

আগে ত্বকের যত্ন

সমুদ্রে যাওয়ার আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার আর বালু ধুয়ে ফেলাই ত্বকের যত্ন নয়। সমুদ্রে যাওয়ার আগে ও ফিরে আসার পর ত্বকের যত্ন হবে আলাদা।

সমুদ্রে যাওয়ার আগে ত্বকের আর্দ্রতা বাড়াতে যত্ন দরকার। পানির পরিমাণ বেশি, এমন সিরাম হতে পারে সমাধান। আর ত্বকের পানি ধরে রাখতে ব্যবহার করতে হবে মানানসই ময়েশ্চারাইজার। হায়ালুরোনিক অ্যাসিড–সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার ত্বকের জন্য ভালো। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড নিজের ওজনের চেয়ে প্রায় ১০০ গুণ বেশি পানি ত্বকে ধরে রাখতে পারে। এ ছাড়া ত্বকে কোলাজেন ও ইলাস্টিন উৎপাদন বাড়াতেও সাহায্য করে।

সমুদ্রে যাওয়ার তিন দিন আগে থেকে রেটিনল–সমৃদ্ধ প্রসাধনী ব্যবহারে ত্বকে রাসায়নিকের এক্সফোলিয়েট হয়, রোদে ত্বক পোড়ার প্রবণতাও কমে।

সমুদ্রে যাওয়ার এক দিন আগে কোনোভাবেই ওয়াক্সিং করা যাবে না। এটি ত্বকের প্রায় একটি লেয়ার সরিয়ে ফেলে। ফলে ত্বক সহজেই পুড়ে যায়।

সমুদ্রে যাওয়ার ঠিক আগে অবশ্যই মুখ, হাত, পা ও পুরো শরীরে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। ঠোঁটেও এসপিএফ ১৫–সমৃদ্ধ লিপ বাম ব্যবহার করতে হবে। কারণ, ত্বকের পাশাপাশি ঠোঁটও কিন্তু রোদে পোড়ে। কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই অ্যালোভেরা জেল ও অ্যাভোকাডো অয়েল ব্যবহার করা জরুরি।

সারা দিনেই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে যেন ত্বক আর্দ্র থাকে।

বিজ্ঞাপন

পরের যত্ন
প্রথমেই সূর্যের তাপে ত্বক থেকে হারিয়ে যাওয়া ময়েশ্চারাইজার ফিরিয়ে আনতে হবে। তাই পছন্দের ক্লিনজার দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করে নিতে হবে। যেকোনো প্রসাধনীতেই অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড থাকা জরুরি।

খুব হালকা ওজন কিন্তু আর্দ্রতা বাড়াবে। অ্যান্টি–অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ অ্যালোভেরা জেল দিয়ে ত্বকের যত্ন শুরু করা যেতে পারে। পেঁপে ও ভিটামিন সি–সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার রোদে পোড়া ভাব কমাতে সাহায্য করবে।

চুলের আগের যত্ন

সমুদ্রে যাওয়ার আগে চুলের জন্য সব থেকে ভালো যত্ন তেল দিয়ে চুলের ময়েশ্চার আটকে রাখা। সে ক্ষেত্রে জোজোবা অয়েল লবণ ও ক্লোরিন থেকে চুলকে রক্ষা করবে। জোজোবা অয়েল ডিপ কন্ডিশনারের কাজ করবে। তবে কমপক্ষে ১৫ মিনিট আগে ব্যবহার করা উচিত।

হেয়ার লোশন আরেকটি ভালো সমাধান। এটি চুলের ক্ষতি হওয়া কমাতে সাহায্য করবে।

তেলসমৃদ্ধ সিরামও ভালো ফল দেবে।

সমুদ্রে যাওয়ার আগে ব্যবহার করা প্রসাধনী এসপিএফ ফর্মুলাসমৃদ্ধ হতে হবে; যা চুল ও স্ক্যাল্পকে ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করবে। এসপিএফ–সমৃদ্ধ হেয়ার মিস্ট ব্যবহার করতে পারেন।

সমুদ্রে যাওয়ার আগে স্বাভাবিক পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। কারণ, শুকনা চুল লবণ ও ক্লোরিন বেশি শোষণ করে।

পরের যত্ন

সমুদ্রে গোসল শেষে শ্যাম্পু ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। তবে শ্যাম্পুতে সালফেট থাকা যাবে না। অর্গানিক কোকোনাট–সমৃদ্ধ শ্যাম্পু চুলের জন্য ভালো। এটি চুলের উজ্জ্বলতা ও ময়েশ্চার বাড়াবে। এ ছাড়া জট কমিয়ে চুলকে মসৃণও করবে।

চুলের শুষ্কতা ডিপ কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির প্রভাব কমাতে পারে, এমন উপাদান কন্ডিশনারে থাকা জরুরি। সে ক্ষেত্রে অ্যালোভেরা জেল কার্যকর।

চুলে হেয়ার মাস্ক ব্যবহারে ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই কমবে। সে ক্ষেত্রে ডিম, টক দই, মধু ভালো উপাদান।

সূত্র: রিয়্যাল সিম্পল, এবিসি, ডেজার্ট এসেন্স

ছবি: অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী ইন্সটাগ্রাম থেকে

বিজ্ঞাপন
প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯: ০২
বিজ্ঞাপন