অনেকের নজর তো গানের চেয়ে বেশি থাকে লিসার সৌন্দর্যে। তিনি কীভাবে নিজের ত্বক এত নিখুঁত এবং গ্লাসের মতো ঝকঝকে রাখেন, তা জানতে ভক্তদের কৌতূহলের শেষ নেই। গ্রীষ্মের তাপপ্রবাহ হোক আর পারফরম্যান্সের সময়েই হোক, তাঁর ত্বকে যেন কোনো ক্লান্তির ছাপ নেই। অনেকেই জানতে চান, কীভাবে সব সময় তিনি ত্বককে সতেজ, হাইড্রেটেড ও দীপ্তিময় রাখেন? লিসা কিন্তু ত্বকের যত্নে অতিরিক্ত কিছুই করেন না। ত্বকের যত্নে তিনি মিলিমালিস্ট। চলুন জেনে নেওয়া যাক ব্ল্যাকপিংকের লিসার সামার স্কিনকেয়ার রুটিন।
লিসার স্কিনকেয়ার রুটিনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো ক্লিনজিং। তিনি মনে করেন, ত্বকের যত্নে যত কিছুই করা হোক না কেন, যদি সঠিকভাবে ত্বক পরিষ্কার না করা হয়, তবে সব বৃথা। ত্বক পরিষ্কার থাকলে অন্য ধাপগুলোও ভালোভাবে কাজ করে। তিনি তাঁর ত্বকের ধরন অনুযায়ী, অর্থাৎ শুষ্ক ত্বকের জন্য ভালো মানের কেমিক্যাল ক্লিনজার ব্যবহার করেন। এতে ত্বকের মৃত কোষগুলো দূর হয়, ধুলাবালু, মেকআপ জমতে পারে না। লিসার গ্লাসের মতো ঝকঝকে স্কিন পেতে চাইলে অবশ্যই ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার রাখতে হবে।
ত্বক পরিষ্কারের পর লিসা ত্বক যেন হাইড্রেটেড থাকে, সেদিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন। লিসার ত্বক যেহেতু শুষ্ক, তাই তাঁর স্কিনকেয়ার রুটিনের বড় একটি অংশজুড়ে থাকে গভীর ময়েশ্চারাইজিং। ত্বক আর্দ্র রাখা লিসার জন্য একটি বাধ্যতামূলক ধাপ। তিনি ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার দিয়ে মুখে হালকা ম্যাসাজ করেন এবং তা সারা রাত রেখে দেন, যাতে ত্বক গভীর থেকে পুষ্টি পায়। সকালে ত্বক হয় সতেজ ও কোমল।
ত্বকে বাড়তি উজ্জ্বলতা ও মসৃণতা আনতে লিসার স্কিনকেয়ার রুটিনে ফেসিয়াল অয়েল একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। বিশেষভাবে রাতে ত্বকের গভীরে পুষ্টি পৌঁছে দিতে তিনি ব্যবহার করেন তাঁর ত্বকের জন্য কার্যকর ফেসিয়াল অয়েল। এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে, ত্বককে করে তোলে কোমল ও উজ্জ্বল। লিসা সাধারণত এমন ফেসিয়াল অয়েল বেছে নেন, যেগুলো নন-কমেডোজেনিক, অর্থাৎ ত্বকের রোমকূপ বন্ধ করে না। তেলতেলে ভাব ছাড়াই ত্বকে একধরনের দীপ্তি এনে দেয়। আপনি যদি ত্বকের প্রাকৃতিক গ্লো ফিরিয়ে আনতে চান, তাহলে লিসার মতো একটি মানসম্মত ফেসিয়াল অয়েল রুটিনে যোগ করতেই পারেন।
ত্বক টান টান ও প্রাণবন্ত রাখতে লিসার স্কিনকেয়ার রুটিনে থাকে লিকুইড লিফট সিরাম। বয়স বা স্ট্রেসের কারণে ত্বকে একটি শিথিল ভাব আসতে পারে, তা রোধ করতে এই সিরাম কার্যকর ভূমিকা রাখে। এতে থাকা পেপটাইড ও হাইড্রেটিং উপাদান ত্বকের ইলাস্টিসিটি বাড়ায় এবং ত্বককে দেয় ফার্ম ও ইয়ুথফুল লুক। লিসা নিয়মিত এই সিরাম ব্যবহার করেন, বিশেষভাবে রাতের রুটিনে, যাতে সারা রাত ধরে ত্বক পুনরুজ্জীবিত হয়। আপনি যদি ত্বকে প্রাকৃতিক টান টান ভাব ধরে রাখতে চান, তবে নিজের রূপ-রুটিনে রাখতে পারেন লিকুইড লিফট সিরাম।
চোখের নিচের ত্বক আমাদের পুরো মুখের তুলনায় অনেক বেশি সংবেদনশীল ও পাতলা, আর লিসা বিষয়টি খুবই গুরুত্ব দেন। দীর্ঘ সময় পারফর্ম করা, মেকআপ ও স্ক্রিন এক্সপোজারের কারণে চোখের চারপাশে ক্লান্তির ছাপ পড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। তাই লিসার স্কিনকেয়ার রুটিনে রয়েছে একটি কার্যকর আই সিরাম, যা ডার্ক সার্কেল, ফাইন লাইন ও ফোলা ভাব কমাতে সাহায্য করে। তিনি এমন একটি আই সিরাম ব্যবহার করেন, যেটিতে থাকে ক্যাফেইন, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড বা ভিটামিন সির মতো উপাদান, যা চোখের চারপাশে সতেজতা ফেরায় ও দীর্ঘ মেয়াদে বয়সের ছাপ কমায়।
ছবি: ইনস্টাগ্রাম