চুলেরও কিন্তু হতে পারে মুড সিইং। শুনতে আবাক লাগলেও অনেকেই এর সঙ্গে একমত হবেন। আজকে চুল ঝলমলে তো কালকে আবার শুষ্ক। মনের মতো চুলেরও পরিবর্তন হয় হঠাৎ। এই কারণে রূপ–রুটিনে চুলকে গুরুত্ব দিতে হবে আগে। চুলের জন্য সব থেকে পরিচিত ও সহজ যত্নের নাম তেল। যে ধরনের তেলই চুলে ব্যবহার করা হোক না কেন, মানতে হবে সঠিক পদ্ধতি।
ধীরে ধীরে শ্যাম্পু করা
শ্যাম্পু করার সময় বেশি তাড়াহুড়ো করা যাবে না। তাড়াতাড়ি তেল ছাড়ানোর জন্য চুলের গোড়ায় জোরে ঘষা দিলে সহজেই চুল ঝরবে। চুল পরিষ্কারের সময় মাইল্ড শ্যাম্পু ও কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা যেতে পারে।
তেল ব্যবহারের পরেই শ্যাম্পু নয়
হাতে সময় কম থাকলে অনেকেই তেল ব্যবহারের পরপরই শ্যাম্পু করে ফেলেন। এটিও ভুল নিয়ম। তেলের গুণাগুণ যেন মাথার ত্বকে প্রবেশ করে, তাই তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করা উচিত।
সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়া নয়
তেল ব্যবহার করে শুয়ে পড়া যাবে না, বরং কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। এতে চুলের তেল বিছানা বা কাপড়ে লেগে যাবে। তেলের গুণাগুণ মিলবে কম।
অতিরিক্ত তেল নয়
অনেক দিন চুলের যত্ন নেওয়া হচ্ছে না? তাই একবারে বেশি করে তেল ব্যবহার করা যাক। এমন ধারণা থেকে বের হতে হবে। কারণ, পরিমাণের ওপর নির্ভর করে তেলের সুফল। চুলের গোড়ায় প্রয়োজনমতো তেল ব্যবহার করলে তা পুরো চুলে পৌঁছে যায়। এরপর প্রয়োজনে হালকা করে সারা চুলে তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে চুলে কিছুটা শুকনা ভাব রাখতে হবে। বেশি তেল ব্যবহারে শ্যাম্পুর সময়ে চুল বেশি ঝরার আশঙ্কা থাকে।
চুল বাঁধা যাবে না
তেল ব্যবহারের পর জলদি করে চুল বাঁধা ভুল নিয়ম। খুব আঁটসাঁট করে চুল বাঁধলে চুল ভাঙা ও চুলের আগা ফাটা সমস্যা বাড়তে পারে। তাই প্রয়োজনে হালকা ও ঢিলা রাখতে হবে চুলের বাঁধন।
তোয়ালে ব্যবহার না করা
তেলের চিটচিটে ভাব ভালো না–ই লাগতে পারে। এর সমাধানও রয়েছে। শুকনা তোয়ালে দিয়ে চুল মোছা যাবে না। এতে চুলের ড্যামেজ বাড়ে, চুল ভাঙে বেশি। প্রয়োজনে তুলা বা কিচেন টিস্যু ব্যবহার করা যেতে পারে, যা কম ক্ষতিকর।
বেশি ম্যাসাজ নয়
অনেকেই মনে করেন বেশি বেশি তেল ম্যাসাজ করলেই বুঝি মাথার ত্বকে তেলের গুণ বেশি পৌঁছায়। এমন ধারণা কিন্তু ভুল। বেশি ম্যাসাজে চুলের প্রাকৃতিক গঠন নষ্ট হতে পারে। এ ছাড়া চুলে জট বাঁধা ও চুল ঝরার পরিমাণ বাড়ে।
চুল আঁচড়ানো যাবে না
তেল ব্যবহার করে সঙ্গে সঙ্গেই চুল আঁচড়ে নেওয়া পুরোনো নিয়ম। অনেকেই ভাবেন এতে চুলের গোড়ায় ভালোভাবে তেল পৌঁছায়। কিন্তু নিয়মটি একেবারেই ভুল। চুল ঝরার প্রধান কারণ হলো জোরে চুল আঁচড়ানো। এ ছাড়া তেল ব্যবহারের পর চুলের গোড়া তুলনামূলকভাবে নরম থাকে। তাই সামান্য টানেই চুল ঝরে পড়ে। তবে চুল আঁচড়ানো দরকার হলে চুলের নিচের অংশ আস্তে আস্তে আঁচড়াতে হবে। এতে চুলে ঝট থাকবে না।
ছবি: হাদী উদ্দীন