ছেলেদের খুশকি সারানোর ৩টি সহজ ধাপ
শেয়ার করুন
ফলো করুন

স্বাস্থ্যেজ্জ্বল চুলের আশা আমাদের সবার। কিন্তু সেই পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় খুশকি নামক যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা। এ সমস্যা আমাদের আশপাশের অনেকের আছে, তবে মেয়েদের চেয়ে ছেলেরা এ সমস্যায় বেশি ভোগেন। মেলাসিজিয়া ছত্রাক, সঠিক যত্নের অভাব, দূষণ, আবহাওয়া, সেবোরিক ডার্মাটাইটিস, অতিরিক্ত শুষ্ক বা তৈলাক্ত মাথার ত্বক খুশকির অন্যতম কারণ। এ ছাড়া কোনো অসুখ বা বংশগত কারণেও এ সমস্যা দেখা দেয়। অন্যান্য যেকোনো সময়ের চেয়ে শীতে খুশকির প্রকোপ বেড়ে যায়। এ সময় মাত্র তিনটি সহজ উপায় মেনে চললে ছেলেরা এ বিরক্তিকর সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

এক্সফোলিয়েশন

শরীরের ত্বকের মতো মাথার ত্বক বা স্ক্যাল্পেও মৃত কোষ জমে। শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করলে কিছু মৃত কোষ উঠে গেলেও ভালোভাবে তা কখনোই যায় না। আর যাঁদের স্ক্যাল্প বেশি শুষ্ক, তৈলাক্ত ও খুশকিযুক্ত, তাঁদের এক্সফোলিয়েশন অত্যন্ত জরুরি। ছেলেদের কাছে মাথার ত্বক এক্সফোলিয়েট করাটা বেশ ঝামেলার মনে হতে পারে। কিন্তু খুশকি সারাতে এটি অনেকটা সাহায্য করবে। আর এক্সফোলিয়েশন প্রতিদিনও করা লাগে না। শুষ্ক ত্বকে সপ্তাহে এক দিন ও তৈলাক্ত ত্বকে দুই দিনই যথেষ্ট। ঘরে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে খুব সহজে মাথার ত্বকের এক্সফোলিয়েটর বানিয়ে ফেলা যায়। যেমন এক টেবিল চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে এক টেবিল চামচ আপেল সাইডার ভিনেগার ও আধা চামচ লবণ মেশালেই চলবে।

আবার এক্সফোলিয়েটর হিসেবে ব্যবহার করা হয় আমাদের অতি পরিচিত মাথাব্যথার ওষুধ অ্যাসপিরিন। মাত্র ছয় বা আটটি অ্যাসপিরিনের সঙ্গে হালকা কুসুম গরম পানি মিশিয়ে পেস্ট বানান। এরপর টুথব্রাশের সাহায্যে স্ক্যাল্পে আলতো করে ম্যাসাজ করুন। এর আগে ফুটন্ত গরম পানিতে টুথব্রাশটি ভিজিয়ে ব্রিসলগুলো নরম করে নিতে ভুলবেন না।

এক্সফোলিয়েটর সব সময় ভেজা চুলে লাগানো উচিত। এ জন্য প্রথমে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে তারপর ভেজা স্ক্যাল্পে আঙুল দিয়ে ঘষে ঘষে এটি লাগাতে হবে। তবে ঘষার সময় নখ লাগানো থেকে বিরত থাকুন।

বিজ্ঞাপন

তেল

সুস্থ ও সুন্দর চুলের জন্য সপ্তাহে অন্তত দুই দিন তেল দেওয়া উচিত। চুলের তেল বলতে আমাদের দেশে সবাই নারকেল তেলকেই বোঝেন। কিন্তু এখন চুলের যত্নে আরও অনেক ধরনের তেল ব্যবহার করা যায়। যেমন জলপাই তেল, আমন্ড তেল, আর্গান তেল। এগুলো চুলের পুষ্টি জোগাতে বেশ ভালো ভূমিকা রাখতে পারে। খুশকির সমস্যা সমাধানে যেকোনো একটি পছন্দের তেলের সঙ্গে মেশাতে পারেন টি ট্রি অয়েল। বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত যে টি ট্রি অয়েল অনেক শক্তিশালী অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি উপাদানে ভরপুর, যা খুশকি প্রতিরোধের ক্ষমতা রাখে। নারকেল বা অন্য যেকোনো তেলে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহার করলে খুশকির সমস্যা কমে আসবে। নিয়ম করে সপ্তাহে দুই দিন আধা ঘণ্টার জন্য তেল দিলেই চলবে।

শ্যাম্পু

মাথার ত্বক পরিষ্কারের জন্য শ্যাম্পুর কোনো বিকল্প নেই। সঠিকভাবে শ্যাম্পু ব্যবহার না করার ফলে অনেকের খুশকি হয়। এই সমস্যা দেখা দিলে শ্যাম্পু ব্যবহারে কোনোভাবে অনিয়ম করা যাবে না। সপ্তাহে অন্তত চার দিন শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত। খুশকি হলে কোল টার, ১ শতাংশ কিটোকোনাজোল, সেলেনিয়াম সালফাইড, স্যালিসাইলিক অ্যাসিডযুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। এই উপাদানগুলো খুশকি দূর করতে সবচেয়ে বেশি কর্যকর।

এত কিছুর পরও যদি খুশকি না দূর হয় তাহলে অবশ্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

ছবি: হোলাগো এর ইনস্টাগ্রাম ও পেকজেলসডটকম

বিজ্ঞাপন
প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮: ১০
বিজ্ঞাপন