ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে: অন্য যেকোনো ক্লিনজারের চেয়ে ক্লিনজিং অয়েল তুলনামূলক ভালো। কারণ, ক্লিনজিং অয়েল ত্বকের হাইড্রেশন ধরে রাখে। তবে ঠিক কোন ক্লিনজিং অয়েলটি আপনার ত্বকের জন্য ভালো হবে, তা বুঝতে কেনার আগে অবশ্যই উপাদানগুলো ভালোভাবে দেখে নিন।
ভালো ব্যাকটেরিয়াগুলো ধরে রাখে: ক্লিনজিং অয়েল যেহেতু বেশ নমনীয়, তাই এটি ত্বকের মাইক্রোবায়োমকে পুরোপুরি অপসারণ না করে ভালো ব্যাকটেরিয়াগুলো ধরে রাখে। এই ভালো ব্যাকটেরিয়াগুলো খারাপ ব্যাকটেরিয়াগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রেখে ব্রণের সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
স্কিন অয়েলের ভারসাম্য রক্ষা করে: যেহেতু ক্লিনজিং অয়েল ত্বকের ন্যাচারাল অয়েল তুলে ফেলে না, তাই এটি ত্বকে পুনরায় অতিরিক্ত স্কিন অয়েল উৎপাদন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ওয়াটার বেজড ক্লিনজারগুলো ব্যবহারে ত্বকে অতিরিক্ত এই স্কিন অয়েল উৎপাদনে সমস্যা দেখা দেয়।
রোমকূপ খুলে দেয়: ক্লিনজিং অয়েল কার্যকরভাবে রোমকূপ থেকে স্কিন অয়েল ও ধুলাবালু বের করে এনে রোমকূপকে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে। এর ফলে ত্বকের ব্রণের সমস্যা প্রতিরোধ হয়।
আপনার ত্বকের ধরন বুঝে ক্লিনজিং অয়েল বাছাই করতে হবে। আপনার ত্বক ঠিক কতটা তৈলাক্ত, তার ওপর যেমন ক্লিনজিং অয়েল বাছাই করাটা নির্ভর করবে, তেমনি আপনার ত্বকে ব্রণ, র্যাশ বা অ্যালার্জির সমস্যা আছে কি না, এ বিষয়গুলোর ওপরও ক্লিনজিং অয়েল বাছাই করাটা নির্ভর করে।
তৈলাক্ত ত্বক: যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত, তাঁদের রোমকূপ বন্ধ করে এমন তেল এড়িয়ে চলা ভালো। যেমন অ্যাভোক্যাডো, নারকেল ও অলিভ অয়েল। এর বদলে অয়েলবেজড ক্লিনজার, যেগুলোতে ন্যাচারাল অ্যাস্ট্রিনজেন্ট প্রপার্টিজ, যেমন টি ট্রি বা পেপারমিন্ট অয়েল রয়েছে, সেগুলো ব্যবহার করা ভালো।
রুক্ষ ত্বক: রুক্ষ ত্বকের জন্য আরগান, ক্যামেলিয়া অথবা শিয়া অয়েল ব্যবহার করা ভালো, যা ত্বককে হাইড্রেটেড ও ময়েশ্চারাইজড রাখতে সাহায্য করে। লেমন ও টি ট্রি অয়েল এড়িয়ে যাওয়া ভালো। কারণ, এই অয়েলগুলো ত্বককে অতিরিক্ত রুক্ষ করে দেয়।
কম্বিনেশন স্কিন: যাঁদের কম্বিনেশন স্কিন, তাঁরা রুক্ষ ও তৈলাক্ত এই দুটি বিষয়ে ভারসাম্য রক্ষা করে উপযুক্ত ক্লিনজিং অয়েল খুঁজে বের করতে অনেকটা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখিই হন বলা চলে। সূর্যমুখী তেল ও ভিটামিন ই–যুক্ত ক্লিনজিং অয়েল ব্যবহার করলে ভালো ফল পেতে পারেন। এই দুটি উপাদান ত্বকের হাইড্রেশন বজায় রেখে ত্বক থেকে ধুলাবালু ও ময়লা পরিষ্কার করে।
ব্রণের সমস্যাজনিত ত্বক: যেসব ক্লিনজিং অয়েলে মিনারেল অয়েল ব্যবহার করা হয়, সেগুলো এড়িয়ে চলুন। কারণ, এই মিনারেল অয়েল রোমকূপে ময়লা আটকে রোমকূপ বন্ধ করে ফেলে এবং তখন ত্বকে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এ ছাড়া যেসব ক্লিনজিং অয়েলে সুগন্ধি ব্যবহার করা হয়, সেগুলো ত্বকে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করে এবং তা থেকে ত্বকে ব্রণ হয়।
আপনার প্রতিদিনের স্কিন কেয়ার রুটিনের প্রথম কাজটি হওয়া চাই অয়েল ক্লিনজিং এবং সঠিক অয়েল ক্লিনজার বাছাই করে নির্দ্বিধায় দিনে দুবার অয়েল ক্লিনজার ব্যবহার করতে পারবেন।
* হাত ভালো করে ধুয়ে, মুছে নিন।
* খুব বেশি পরিমাণে ক্লিনজিং অয়েল না নিয়ে হাতের তালুতে কয়েক ফোঁটা ক্লিনজিং অয়েল নিন।
* এবার শুষ্ক ত্বকে আলতোভাবে ক্লিনজিং অয়েল ম্যাসাজ করে নিন এবং টি-জোনে খুব ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন।
* কুসুম গরম পানিতে হাত ভিজিয়ে সেই হাত দিয়ে ক্লিনজিং অয়েল মুখে ম্যাসাজ করে নিন। ধীরে ধীরে ত্বক থেকে ধুলাময়লা বের হতে থাকবে এবং ক্লিনজিং অয়েল সাদা রঙের ক্রিমের মতো হয়ে যাবে।
* এ পর্যায়ে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
* এরপর হালকাভাবে তোয়ালে অথবা টিস্যু দিয়ে মুখ মুছে যথাক্রমে টোনার, সিরাম ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
ছবি: পেকজেলসডটকম ও ইনস্টাগ্রাম